শিরোনাম
যেকোনও মুহূর্তে বন্ধ করে দেওয়া হবে বরিশালের করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল। শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পাঁচতলার এক্সটেনশন ভবনে হাসপাতালটি স্থাপিত হয়। যেখানে প্রতিদিন গড়ে তিনশ রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন; সেখানে বর্তমানে গড়ে চার-পাঁচ রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। রোগীর সংকটে বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে হাসপাতালটি। ভবনটি মেডিসিন ওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার করা হবে।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হওয়ার পর প্রতিদিন করোনা রোগীর চাপ বাড়তে থাকে। রোগীর চাপ সামাল দিতে ২০ শয্যা নিয়ে শুরু হয় করোনা ওয়ার্ড। পর্যায়ক্রমে তিনশ শয্যার হাসপাতাল করা হয়। সেখানে প্রতিদিন গড়ে তিনশ রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। শয্যা ছাড়াও মেঝেতে চিকিৎসা নিয়েছেন করোনা রোগীরা।
রোগীর চাপ আরও বাড়তে থাকলে বরিশাল জেনারেল হাসপাতালকে ২০০ শয্যার করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে রূপ দেওয়া হয়। সাধারণ রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয় হাসপাতালে। সাধারণ রোগীদের চিকিৎসা হতো শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।
ধীরে ধীরে অবস্থার পরিবর্তন হতে থাকে। করোনা রোগীর সংখ্যা কমতে থাকলে জেনারেল হাসপাতালটিকে আগের অবস্থায় ফিরে আনা হয়। বর্তমানে সেখানে হাতেগোনা কয়েকটি শয্যা রাখা হয়েছে করোনা রোগীদের জন্য। এ ছাড়া বেশিরভাগ শয্যায় সাধারণ রোগীরা চিকিৎসা নিচ্ছেন।
সর্বশেষ বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) শের-ই-বাংলা মেডিক্যালের করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি ছিলেন আট রোগী। বাকি ২২২টি শয্যা খালি পড়ে আছে। বুধবার রোগী ভর্তি ছিলেন ছয় জন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ওয়ার্ডে মৃত্যুর সংখ্যা শূন্য। সুস্থ হয়ে ছাড়পত্র নিয়েছেন একজন। গত ২৪ ঘণ্টায় মেডিক্যাল কলেজের আরটিপিসিআর ল্যাবে করোনা শনাক্তের হারও শূন্য।
গত বছর মার্চ থেকে আজ পর্যন্ত করোনা ওয়ার্ডে চিকিৎসা নিয়েছেন সাত হাজার ৩৮৩ জন। যার মধ্যে দুই হাজার ৩৫১ জন ছিলেন করোনা পজিটিভ। ওই সময়ের মধ্যে ছাড়পত্র নিয়েছেন পাঁচ হাজার ৯৪৫ জন। যাদের মধ্যে এক হাজার ৯২৯ জন করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন। একই সময়ে মারা গেছেন এক হাজার ৪৩৫ জন। এদের মধ্যে ৪২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে করোনায়।
এ ব্যাপারে শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক এইচএম ডা. সাইফুল ইসলাম বলেন, করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালের ওই ভবনের একপাশে ২০ থেকে ২৫ শয্যার করোনা ওয়ার্ড চালু থাকবে। এ ছাড়া পুরাতন ভবন থেকে মেডিসিন ওয়ার্ড এক্সটেনশন ভবনে নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। এ জন্য শিগগিরই মিটিং করে এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হবে। তাতে মেডিসিন ওয়ার্ডের সক্ষমতা বাড়বে। সেখানে অধিক রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিতে পারবেন। আপাতত করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল বন্ধ থাকবে।
সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন