শিরোনাম
নওগাঁর মান্দা উপজেলার গনেশপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে আহত রানা (৩৮) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। সূত্র: যুগান্তর
বৃহস্পতিবার সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থেকে তিনি মারা যান।
নিহত রানা উপজেলার উত্তর শ্রীরামপুর গ্রামের মৃত নাসির উদ্দিনের ছেলে। রানা স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী শফিকুল ইসলাম চৌধুরীর সমর্থক হিসেবে পরিচিত।
জানা যায় গত ১৩ নভেম্বর নির্বাচনি প্রচারণা চালানোর সময় আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী হানিফ উদ্দীন মণ্ডল ও স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী শফিকুল ইসলাম চৌধুরীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গ্রামপুলিশসহ আটজন আহত হন।
তাদের মধ্যে রানা গুরুতর আহত হন। সংঘর্ষের ওই ঘটনায় ওই দিনই আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী হানিফ উদ্দীন বাদী হয়ে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী শফিকুল ইসলামসহ ৬০ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মান্দা থানায় মামলা করেন।
স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী শফিকুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, গত ১৩ নভেম্বর নির্বাচনি প্রতীক বরাদ্দের দিন বিকাল ৫টার দিকে সতিহাটবাজার এলাকায় আমার কর্মী-সমর্থকরা আনারস প্রতীকের প্রচারণা চালাচ্ছিলেন। এ সময় নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী হানিফ উদ্দীনের কর্মীরা মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে বের হন। উভয়পক্ষ মুখোমুখি হলে হানিফ উদ্দীনের লোকজন কোনো উসকানি ছাড়াই আমার কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলা চালায়। এতে আমার সমর্থক সাইফুল ইসলাম, রানা ও সাহাদত হোসেন গুরুতর আহত হন। এ ঘটনায় থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ কোনো মামলা নেয়নি।
হানিফ উদ্দীনের দাবি, শফিকুল ইসলামের সমর্থকরাই তার সমর্থকদের ওপর অতর্কিত হামলা চালান। সতিহাট বাজারে থাকা তার একটি নির্বাচনী ক্যাম্প ভেঙে দিয়েছে। এতে তাদের হামলায় তার পাঁচ কর্মী গুরুতর আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় থানায় মামলা করলেও এখন পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। অথচ আসামিরা প্রকাশ্যে এলাকায় ঘুরছেন এবং নির্বাচনি প্রচারণা চালাচ্ছেন।
এ বিষয়ে মান্দা থানার ওসি শাহিনুর রহমান বলেন, সংঘর্ষের ওই ঘটনায় ৬০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে চেয়ারম্যান প্রার্থী হানিফ উদ্দীন একটি মামলা করেছেন। তবে অন্য পক্ষ থানায় কোনো অভিযোগ করেনি।