শিরোনাম
নাটোরে মৃত্যুর ১১১ দিন পর আদালতের নির্দেশে রাজাপুর আমহাটি কবরস্থান থেকে হারুনুর রশিদ নামে এক যুবকের মরদেহ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর আধুনিক হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে মরদেহ উত্তোলনের সময় থানা পুলিশের সঙ্গে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল মালেক উপস্থিত ছিলেন।
মৃত ব্যক্তির পরিবার ও পুলিশ জানায়, নাটোর সদর থানার রথবাড়ি এলাকার আব্দুর রহিম ব্যাপারীর সঙ্গে জমি নিয়ে তার আপন ভাই চক আমহাটি হাফরাস্তা এলাকার আব্দুল আজিজ ব্যাপারীর বিরোধ চলে আসছিল। এ অবস্থায় গত ২৫ জুলাই আব্দুর রহিম ব্যাপারীর ছেলে হারুনুর রশিদ অসুস্থ অবস্থায় বাড়ি ফিরে মারা যান। পরে সামাজিক ভাবে হারুনুর রশিদের মরদেহ দাফন করা হয়।
কিন্তু মৃত্যুর পর আব্দুর রহিম ব্যাপারী জানতে পারেন হারুনুর রশিদকে তার চাচা আব্দুল আজিজ ব্যাপারী এবং তার দুই ছেলে আকরাম হোসনে বাবু ও জহুরুল ইসলাম কৌশলে খাবারের সঙ্গে গ্যাস ট্যাবলেট পান করান। ফলে হারুনুর রশিদের মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে আব্দুর রহিম ব্যাপারী বাদী হয়ে গত ৪ অক্টোবর অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এসএম গোলজার হোসেনের আদালতে মামলা দায়ের করেন। ৬ অক্টোবর শুনানি শেষে ম্যাজিস্ট্রেট নাটোর থানার ওসিকে অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গণ্য করার নির্দেশ দেন।
গত ১০ অক্টোবর নাটোর থানায় ৩ জনকে অভিযুক্ত করে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। অবশেষে আদালতের নির্দেশে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল মালেকের উপস্থিতিতে কবর থেকে মরদেহ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নাটোর থানার এসআই শফিকুল ইসলাম বলেন, কিভাবে হারুনুর রশিদের মৃত্যু হয়েছে তা জানার জন্য ময়নাতদন্ত করতে কবর থেকে মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
সূত্র: জাগো নিউজ