শিরোনাম
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১২ জন আহত হয়েছেন। নির্বাচনে অংশ নেয়া দুই মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে মেদিনীপুর গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- মেদিনীপুর গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে সুমন (৩৫), তবিকুর রহমানের ছেলে তারিখ (৪০), ফকরুদ্দিনের ছেলে শান্ত (৩৬), দরুদ চৌধুরীর ছেলে কাওছার চৌধুরী (৫০), মৃত আইজেল তরফদারের ছেলে কাওছার আলী (৫০), তার ভাই নওশেদ আলী (৪২), মৃত হারান মোল্লার ছেলে তারিখ মোল্লা (৩৫) ও তার ভাই আব্দুর রাজ্জাক (৫০), একই গ্রামের মৃত দাউদ মণ্ডলের ছেলে শওকত মণ্ডল (৪৫), আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে আব্দুল হালিম (২৫) ও মৃত কবিল মণ্ডলের ছেলে নওশের মণ্ডল (৫০)।
স্থানীয়রা জানায়, সোমবার রাতে জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের চার নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী আব্দুল আলিমের সমর্থকরা ভোট চাইতে যান। এ সময় অপর প্রার্থী ইসরাইল বিশ্বাসের সমর্থকরা বাঁশ ও রড নিয়ে প্রতিপক্ষ প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলা চালান। একপর্যায়ে উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে দু’পক্ষের মোট ১২ জন আহত হন।
খবর পেয়ে জীবননগর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। পরে আহতদের উদ্ধার করে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।
মেম্বার প্রার্থী ইসরাইল বিশ্বাস বলেন, সংঘর্ষের সময় খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে যাই। যাওয়ার পরই প্রতিপক্ষ আব্দুল আলীমের সমর্থকরা আমাকে মারধর করে। এতে আমিসহ আমার পক্ষের সাতজন কর্মী আহত হয়েছে।
অপরদিকে মেম্বার প্রার্থী আব্দুল আলীম বলেন, রাতে আমার কর্মীরা ভোট চাওয়ার জন্য মেদিনীপুর গ্রামে পৌঁছালে ইসরাইল বিশ্বাসের কর্মীরা বাঁশ ও রড দিয়ে হামলা চালিয়ে আমার পাঁচজন কর্মীকে আহত করেছে।
জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল খালেক বলেন, ইউপি নির্বাচনের ভোট চাওয়াকে কেন্দ্র করে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। পরে দুই প্রার্থী বিষয়টি মীমাংসা করে নিয়েছে।
সূত্র: জাগো নিউজ