শিরোনাম
রোহিঙ্গাদের শীর্ষ নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যা মামলায় জড়িত সন্দেহে আরও দুই রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করেছে ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)। সম্প্রতি উখিয়ার লম্বাশিয়া রোহিঙ্গা শিবিরে ডি-১১ ব্লকের কোবা মসজিদ এলাকায় অভিযান চালানো সন্ত্রাসীদের অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার দুজন হলেন লম্বাশিয়া শিবিরের ডি-৯ ব্লকের সব্বির আহমদের ছেলে আবুল কালাম ওরফে আবু (৩৪) এবং একই ক্যাম্পের ডি-৪ ব্লকের সৈয়দ আনোয়ারের ছেলে মো. নাজিম উদ্দিন (৩৫)। স্থানীয় রোহিঙ্গাদের কাছে এই দুইজন মিয়ানমারের সশস্ত্র গ্রুপ আরাকান স্যালভেশন আর্মি (আরসা) (আল-ইয়াকিন নামেও পরিচিত) সদস্য নামে পরিচিত বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে জানা গেছে। গ্রেপ্তার দুজনকে রাতে উখিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
রোহিঙ্গা শিবিরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ১৪ এপিবিএন অধিনায়ক ও পুলিশ সুপার নাঈমুল হক বলেন, মুহিবুল্লাহ হত্যা মামলায় এর আগে ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এ নিয়ে গ্রেপ্তারের সংখ্যা দাঁড়াল ১১। তাঁদের মধ্যে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটজনকে রিমান্ডে নেওয়া হয়। তা ছাড়া গ্রেপ্তারদের মধ্যে দুইজন মোহাম্মদ ইলিয়াছ ও আজিজুল হক কক্সবাজার আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
এপিবিএন সূত্র জানায়, শনিবার বিকেলে লম্বাশিয়া ক্যাম্পের ডি-১১ ব্লকের কোবা মসজিদের সামনের কতিপয় অস্ত্রধারী দুর্বৃত্তের অবস্থানের খবরের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালায় পুলিশ। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তিনজন দুর্বৃত্ত পালিয়ে গেলেও দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারদের জিজ্ঞাসাবাদের পরে ক্যাম্পের একটি বাড়ি থেকে দেশীয় তৈরি একটি বন্দুক ও একটি গুলি উদ্ধার করা হয়।
গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে উখিয়ার লম্বাশিয়া আশ্রয়শিবিরের ডি ব্লকের আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস (এআরএসপিএইচ) সংগঠনের কার্যালয়ে বন্দুকধারীদের গুলিতে নিহত হন মুহিবুল্লাহ (৪৮)। তিনি ওই সংগঠনের চেয়ারম্যান ছিলেন। পরের দিন ৩০ সেপ্টেম্বর মুহিবুল্লাহর ছোট ভাই হাবিবুল্লাহ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে উখিয়া থানায় হত্যা মামলা করেন।
সূত্র: প্রথম আলো