শিরোনাম
ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার পাট বাজার মোড় সংলগ্ন রোড ডিভাইডারটি যেন ‘মৃত্য ফাঁদে’ পরিণত হয়েছে। জেলা সড়ক ও জনপথ বিভাগ দুর্ঘটনা রোধে এ ডিভাইডারটি নির্মাণ করলেও সেটি এখন দুর্ঘটনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা।
গত এক বছরে শতাধিক দুর্ঘটনা ঘটেছে এ ডিভাইডারের কারণে। এতে প্রাণ হারিয়েছেন অনেকেই। আহত হয়ে অসহায় দিন কাটাচ্ছেন ভুক্তভোগীরা। দুর্ঘটনার পাশাপাশি যানজটেরও কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে এ ডিভাইডার।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক ও মধুখালী-বালিয়াকান্দী আঞ্চলিক সড়কের মিলিতস্থান হওয়ায় প্রতিনিয়ত বিভিন্ন গাড়ি ও বাজারে আগতদের চাপ থাকে এখানে। ফলে প্রায়ই ঘটে দুর্ঘটনা। এটি অপসারণের দাবি জানিয়েও প্রতিকার পাচ্ছেন না এলাকাবাসী। সড়ক ও জনপথ বিভাগ সতর্কীকরণ সাইনবোর্ড টাঙালেও ডিভাইডারের কোনো প্রান্তে নেই স্পিড ব্রেকার ও জেব্রা ক্রসিংয়ের চিহ্ন। এতে আরও প্রাণহানি বাড়ার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।
মধুখালী বাজারের ব্যবসায়ী মো. মির্জা মুরাদ হোসেন ও প্রহলাদ সাহা বলেন, রোড ডিভাইডারের কোনো প্রান্তে স্পিড ব্রেকার ও সিগনাল না থাকায় প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। এতে মানুষ যেমন নিহত হচ্ছে তেমনি পঙ্গুত্বেরও শিকার হচ্ছেন অনেকে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে আরও হতাহতের শঙ্কা রয়েছে।
মধুখালী বাজারের বাসিন্দা ও ঠিকাদার মির্জা প্রিন্স বলেন, সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ সতর্কীকরণ সাইনবোর্ড টাঙালেও ডিভাইডারের কোনো প্রান্তেই স্পিড ব্রেকার ও জেব্রা ক্রসিংয়ের চিহ্ন নেই। এজন্য দুর্ঘটনা ঠেকানো যাচ্ছে না। ফলে এটি দুর্ঘটনা রোধ না করে উল্টো মানুষের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এ বিষয়ে মধুখালী পৌরসভার মেয়র খন্দকার মোরশেদ রহমান লিমন বলেন, মধুখালী বাজারের এ রোড ডিভাইডারটি নির্মাণের পর থেকে ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটেই যাচ্ছে। বিষয়টি সড়ক ও জনপথ বিভাগের সংশ্লিষ্টদের জানিয়েও কোনো ফল হচ্ছে না। এ বিষয়ে শিগগির পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানাই।
মধুখালী উপজেলা চেয়ারম্যান মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের মধুখালী পাট বাজারের সামনে জনগণের মঙ্গলের জন্য এ ডিভাইডার স্থাপন করা হলেও সেটি এখন অমঙ্গলের কারণ হয়ে উঠেছে। এটি যেন মৃত্যু ফাঁদে পরিণত হয়েছে। জেলা প্রশাসকের কাছে ডিভাইডারটি অপসারণের অনুরোধ জানিয়েছি। সে মোতাবেক তিনি ব্যবস্থা নেবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন।
মধুখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আশিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, বিষয়টি নিয়ে ফরিদপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা শিগগির ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে ফরিদপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী নকিতুল বারী বলেন, শিগগিরই ডিভাইডারের উভয় প্রান্তে মহাসড়কের প্রশস্ততা বৃদ্ধির পাশাপাশি ডিভাইডারটি কিছুটা ছোট করা হবে। এতে খুব সহজেই যানবাহন টার্ন নিতে পারবে। এছাড়া ডিভাইডারের দুই প্রান্তে সাইনবোর্ড ও সিগনাল সংযুক্ত করা হবে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে কাজ চলছে।
সূত্র: জাগো নিউজ