শিরোনাম
নারায়ণগঞ্জের ডিসি-এসপির বিষয়ে জাতীয় সংসদের অধিবেশনে প্রশ্ন তুলবেন বলে জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান।
শনিবার (২৭ জানুয়ারি) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের ইসদাইর ওসমানী স্টেডিয়ামে মাদক, চাঁদাবাজি, ইভটিজিং, ভূমিদস্যুতার বিরুদ্ধে এক জনসভায় এ কথা জানান তিনি।
শামীম ওসমান বলেন, আজকে আমাকে প্রশ্ন করেছেন আমি জেলা প্রশাসককে বলেছি কিনা। আমি তাকে একবার বলিনি বার বার বলেছি। নারায়ণগঞ্জ, প্রধানমন্ত্রীর মূখ্যসচিবসহ আমাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন এমন উদ্যোগ নেওয়ার জন্য। একজন সংসদ সদস্যের অবস্থান কোথায় তা হয়তো নারায়ণগঞ্জের প্রশাসনের অনেকে বুঝতে পারেন না।
তিনি বলেন, সবাইকে মনে রাখতে হবে নারায়ণগঞ্জে যারা আছেন আমার নাম শামীম ওসমান। আমি কারো দয়ায় চলিনা কিন্তু। আমি রাজপথে সৃষ্টি হওয়ার মানুষ রাজপথেই শেষ হবো। যে প্রশ্ন আজকে উঠেছে নারায়ণগঞ্জের প্রশাসনের কেউ এ অনুষ্ঠানে আসতে দেননি কিংবা আসেননি। সেই প্রশ্ন যদি আমি এখানে করি তাহলে মনে করবেন নারায়ণগঞ্জে করেছি। আমার সম্পর্কে আপনাদের ধারণা কম। আমি এই প্রশ্ন জাতীয় সংসদে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে জিজ্ঞাসা করবো। যারা জনগণের সেবক হিসেবে জনগণের চাকরি করেন তারা অনুপস্থিত কেন, আমি সেই প্রশ্ন করবো।
আওয়ামী লীগ নেতা শামীম ওসমান বলেন, আমি মাথা নোয়াবার মানুষ নই। সম্প্রতি জেলা প্রশাসনের সার্ভেয়ারকে ৪২ লাখ টাকাসহ দুদক গ্রেপ্তার করা প্রসঙ্গে শামীম ওসমান বলেন, টাকা ধরা পড়ে যাত্রাবাড়িতে আর কেইস দেখান ফতুল্লায়। আমি সব কিছুই জানি।
তিনি বলেন, এটা আমাদের নারায়ণগঞ্জ। আমি জানতে চাইবো, জনপ্রশাসন মন্ত্রীর কাছে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে। আমি জানতে চাইবো প্রধানমন্ত্রীর কাছে। দাওয়াত দেওয়ার পরও কেন আসেনি। আপনারা এটা নিয়ে দুঃশ্চিন্তা করবেন না। এ সরকারের প্রধান হলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। তিনিও যেমন পৃথিবীর কোনো শক্তির কাছে মাথা নত করেন না, আমরাও তার কর্মী। আমরাও কারও কাছে মাথা নত করি না। আগে একহাজার লোকের কমিটি করেন। নব্বই হাজার লোক হবে। পাঁচজন করে যদি হয় তবে লোক হবে সাড়ে চার লাখ। সাড়ে চার লাখ-পাঁচ লাখ লোক রাত ১২টার সময়ও নামানোর ক্ষমতা শামীম ওসমান রাখে ইনশাআল্লাহ। নামানোর পরে যদি আমরা বলি, জনগণ যদি বলে আমরা কাউকে এখানে চাই না তাহলেই কিন্তু কারও এখানে থাকার ক্ষমতা নাই।
শামীম ওসমান বলেন, আগের মেজাজ থাকলে এখনই বলে দিতাম। বয়স এখন ৬২ হয়েছে, সেই বয়সটা ২৬ করে দিয়েন না কিন্তু। সাবধান করে দিলাম।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিকেএমইএ নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাই, নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি আরিফ আলম দিপু, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জীবনসহ অনেকে।
উল্লেখ্য, নারায়ণগঞ্জে মাদক, সন্ত্রাস, কিশোর গ্যাংসহ প্রধান সামাজিক সমস্যাগুলোর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার লক্ষ্যে সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে এ মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলার আলেম ওলামা, শিক্ষক, আইনজীবী, চিকিৎসক, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক ও বিভিন্ন পর্যায়ের জনপ্রতিনিধিরাসহ সব পেশাজীবী মানুষ। শুধু উপস্থিত ছিলেন না নারায়ণগঞ্জের ডিসি ও এসপি।