শিরোনাম
পঞ্চগড়ে টানা চারদিন ধরে বয়ে চলা মৃদু থকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ তীব্র শৈত্যপ্রবাহে রূপ নিয়েছে। শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন ৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) ছিল ৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ জেলায় গত সোমবার থেকে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ থেকে ১০ এর মধ্যেই উঠানামা করছিল।
আবহাওয়া অফিস জানায়, বছরের শীতলতম মাস জানুয়ারির শুরু থেকে এখানে হাড় কাঁপানো শীত অনুভূত হচ্ছিল। কয়েক দফা মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায়। সপ্তাহজুড়েই এখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ এর আশপাশে ছিল। বৃহস্পতিবার সকালে ৬ এর নিচে নামে তাপমাত্রা যন্ত্রের পারদ। ভোর থেকে শুরু হয় ঘন কুয়াশা। কদিন ধরেই রাতভর বৃষ্টির মত ঘন কুয়াশা ঝরে। বেলা বাড়ার সঙ্গে কুয়াশার ঘনত্ব কমে আসে। বিকেলে আবারও ঘন কুয়াশায় ঢেকে যায় গোটা এলাকা। আর সারাদিন হালকা কুয়াশার সঙ্গে সঙ্গে উত্তরের হিমশীতল বাতাসে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে জনজীবন।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার পরও সড়ক মহাসড়কে হেটলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। মাঘের হাড় কাঁপানো শীতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া মানুষ। গত দুই বছরের তুলনায় এবার শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে বলে জানায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস।
শহরের ইজিবাইক চালক আকবর আলী বলেন, কুয়াশা আর বাতাসের কারণে খুব খারাপ অবস্থা। এমন আবহাওয়ায় খুব বেশি প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাসা থেকে বের হন না। কেউ রিকশায় উঠতে চান না। দৈনন্দিন আয় অর্ধেকের চেয়ে কমে গেছে। পরিবার নিয়ে খুব কষ্টে আছি।
উপজেলা সদরের হাফিজাবাদ ইউনিয়নের মারুপাড়া এলাকার কৃষক আল আমিন বলেন, স্থানীয় কৃষি শ্রমিকদের সঙ্গে নিজেও কাজ করি। প্রতিদিন ভোরে বাড়ি থেকে বের হয়ে মাঠে নামতে হয়। কিন্তু ঠান্ডার কারণে হাত দিয়ে কোনো কিছু ধরা যায় না। ঠান্ডায় হাত বরফ হয়ে আসে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, তেঁতুলিয়াসহ আশপাশের এলাকায় বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ ছিল। শুক্রবার সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন ৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। বৃহস্পতিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি। এ এলাকায় তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বইছে।