শিরোনাম
দেশের চার জেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় সাতজন নিহত হয়েছেন। কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে মোটরসাইকেল আরোহী বাবা ও ছেলের মৃত্যু হয়েছে। খুলনায় পৃথক দুর্ঘটনায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া ফরিদপুরের ভাঙ্গায় দুজন ও ময়মনসিংহের ভালুকায় একজন নিহত হয়েছেন।
আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো সংবাদে বিস্তারিত :
ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) : কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে স্থানীয় যান নসিমনের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী বাবা ও ছেলের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার সকালে ভূরুঙ্গামারী সোনাহাট স্থলবন্দর সড়কের পাটেশ্বরীর তালতলায় দুর্ঘটনাটি ঘটে।
নিহতরা হলেন নাগেশ্বরী উপজেলার কচাকাটা থানার সরকারটারি গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে শহিদুল ইসলাম (৪৮) ও শহিদুলের ছেলে বিপ্লব (২৫)।
স্থানীয়রা জানায়, কচাকাটা থানা এলাকার শহিদুল বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলে তাঁর ছেলে বিপ্লবকে নিয়ে ভূরুঙ্গামারীতে আসার পথে উপজেলার পাইকেরছড়া ইউনিয়নের ভূরুঙ্গামারী-সোনাহাট স্থলবন্দর মহাসড়কের তালতলায় পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি নসিমনের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে।
এ সময় তাঁরা মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে ভূরুঙ্গামারী হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এ এস এম সায়েম বলেন, তাদেরকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে।
ভূরুঙ্গামারী থানার ওসি রুহুল আমিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
খুলনা : পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় খুলনায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। রবিবার দুপুর ১২টার দিকে রূপসা উপজেলার নৈহাটী বালিকা বিদ্যালয়ের অদূরে ট্রলির ধাক্কায় মো. সাইফুল ইসলাম (৫০) নামের এক মোটরসাইকেলচালক নিহত হয়েছেন। সাইফুল ইসলাম বাগমারা নিজ গ্রাম থেকে মোটরসাইকেলে কাজদিয়ায় রওনা হন। নৈহাটী বালিকা বিদ্যালয়ের কাছে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রলি মোটরসাইকেলটিকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।
এদিকে দ্রুতগতির মোটরসাইকেল নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা মাছবোঝাই পিকআপে ধাক্কা দিয়ে মারা গেছে নাহিদ (১৭) নামের কিশোর।
এ সময় মোটরসাইকেলে থাকা আরো দুজন আহত হন। শনিবার দিবাগত রাত ১১টার দিকে নগরীর নতুন বাজার লঞ্চঘাট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত নাহিদ নতুন বাজার সংলগ্ন চরবস্তি এলাকার বাসিন্দা।
ভাঙ্গা (ফরিদপুর) : ফরিদপুরের ভাঙ্গায় পৃথক দুটি সড়ক দুর্ঘটনায় দুজন নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন নগরকান্দা উপজেলার পৈলানপুট্টি গ্রামের মৃত ওয়াজেদ শেখের ছেলে বাসু শেখ (৭০) ও ভাঙ্গা উপজেলার ঘারুয়া গ্রামের আব্দুল করিম শেখ (৬৫)।
ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার ওসি আবু সাঈদ মো. খাইরুল আনাম জানান, শনিবার রাত ৮টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ভাঙ্গা উপজেলার হামিরদী ইউনিয়নের মুনসুরাবাদ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় রাস্তা পার হওয়ার সময় অজ্ঞাত একটি পরিবহনের ধাক্কায় পথচারী বাসু শেখ রাস্তায় ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন। তাঁকে প্রথমে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, পরে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার রাত ১টার দিকে তিনি মারা যান।
পৃথক ঘটনায় গত শুক্রবার রাতে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ভাঙ্গা পৌরসভার খাড়াকান্দি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ঢাকা থেকে খুলনাগামী যাত্রীবাহী সোহাগ পরিবহনের একটি বাস রাস্তায় একটি লেগুনাকে পেছন থেকে ধাক্কা দিলে লেগুনার চার যাত্রী ঘটনাস্থলেই নিহত ও ছয়জন গুরুতর আহত হন। আহতদের মধ্যে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন করিম শেখ রবিবার ভোরে মারা যান। এতে ওই দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা দাঁড়াল পাঁচ।
ভালুকা (ময়মনসিংহ) : ভালুকায় কারখানার ফটকে কর্মরত অবস্থায় ট্রাকচাপায় এক নিরাপত্তা প্রহরী নিহত হয়েছেন। উপজেলার মল্লিকবাড়ি ইউনিয়নের ধামশুর এলাকায় সিমকো কারখানায় গত শনিবার রাতে ওই ঘটনা ঘটে। কারখানার গেট খোলার সময় দুর্ঘটনাবশত ট্রাকচাপায় তিনি নিহত হন। নিরাপত্তা প্রহরী সবুজ মিয়া উপজেলার একই ইউনিয়নের বর্তা গ্রামের আবদুর রহমানের ছেলে।