শিরোনাম
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরে (এলজিইডি) নির্দিষ্ট সময়ের আগেই কিছু কাজ লটারির মাধ্যমে পছন্দের লোকজনকে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এনিয়ে নির্বাহী প্রকৌশলীর সঙ্গে তুমুল বাগবিতণ্ডা হয় ঠিকাদারদের। পরে ঠিকাদারদের তোপের মুখে ওই কাজগুলো পুনরায় লটারি করার আদেশ দেন নির্বাহী প্রকৌশলী।
রোববার (১৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
দরপত্রে অংশ নেওয়া ঠিকাদারগণ জানান, গত সেপ্টেম্বর মাসে জেলার বিভিন্ন উপজেলার ৩৬টি সড়ক মেরামত কাজের দরপত্র আহ্বান করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। ৩০ সেপ্টেম্বর শেষ দিন পর্যন্ত আড়াই শতাধিক ঠিকাদার দরপত্রে অংশ নিতে কাগজ জমা দেন। এরপর গত ১৪ অক্টোবর ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এলজিইডি অধিদপ্তরের কার্যালয়ে এক নোটিশে ১৭ অক্টোবর ৩৬টি কাজের লটারি অনুষ্ঠিত হবে বলে জানানো হয়। কিন্তু এসব কাজের লটারি হওয়ার আগেই ১৭ অক্টোবর দুপুরে প্রায় চার কোটি টাকার তিনটি কাজ তিনজন ঠিকাদার দিয়ে দেওয়া হয়। বিষয়টি জানতে পেরে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন ঠিকাদাররা।
জানা যায়, রোববার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে এলজিইডি অফিসের সভাকক্ষে দরপত্রের লটারির শুরু হওয়ার আগ মুহূর্তে উপস্থিত ঠিকাদাররা নির্দিষ্ট সময়ের আগে বণ্টন করে দেওয়া কাজের বিষয়ে আপত্তি তোলেন। সময়ের আগে যে তিনটি কাজ বণ্টন করে দেওয়া হয়েছে সেগুলো বাতিল করে পুনরায় লটারি করার দাবি জানান তারা। পরে ওই তিনটি কাজের দরপত্র পুনরায় লটারি করার লিখিত আদেশ দেন নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শিরাজুল ইসলাম।
দরপত্রে অংশ নেওয়া ঠিকাদার রকিব, পারভেজ ও সুমন জানান, রোববার বিকেল সাড়ে ৪টায় ৩৬টি কাজের লটারির পূর্বনির্ধারিত সময় ছিল। কিন্তু এরই মধ্যে তিনটি কাজের লটারি সকালেই করে ফেলা হয় তাদের পছন্দের ঠিকাদারদের পাইয়ে দেওয়ার জন্য। প্রতিবাদ জানালে নির্বাহী প্রকৌশলী ওই তিনটি কাজের পুনরায় লটারি করার আদেশ দেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শিরাজুল ইসলাম জানান, অনুষ্ঠিত হওয়া দরপত্রের তিনটি কাজ বণ্টনে জটিলতা দেখা দেওয়ায় এগুলো পুনরায় লটারি করা হবে। সূত্র: জাগো নিউজ