শিরোনাম
রাজশাহীতে বিএনপির ঝটিকা মিছিল থেকে ছোড়া ককটেল বিস্ফোরণে চোখ হারাতে বসেছেন আবুল বাশার।
বুধবার (২৯ নভেম্বর) দুপুরে চিকিৎসা নিতে এসে ককটেলে আহত হন তিনি। চিকিৎসকরা বলছেন, চোখে স্প্লিন্টার ঢুকেছে তার। এতে তিনি হারাতে পারেন দৃষ্টিশক্তি।
মেহেরপুর থেকে স্ত্রীর চিকিৎসা করাতে এসে বিএনপির ঝটিকা মিছিল থেকে ছোড়া ককটেলে দৃষ্টিশক্তি হারাতে বসেছেন সৈয়দপুর রেল কারখানায় কর্মরত আবুল বাশার। নিজেই এখন কাতরাচ্ছেন হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে।
পাশেই দাঁড়িয়ে থাকা স্ত্রীর কান্না আর থামছেই না। আবুল বাশারের স্ত্রী শাহনাজ পারভীন জানান, বুধবার কপোতাক্ষ ট্রেনে চিকিৎসার জন্য রাজশাহী আসেন তারা। এরপর অটোরিকশায় করে নগরীর লক্ষ্মীপুর এলাকার পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের দিকে যাচ্ছিলেন। অটোরিকশাটি কামারুজ্জামান চত্বরে পৌঁছালে অবরোধের সমর্থনে বিএনপির একটি ঝটিকা মিছিল বের হয়। সেই মিছিল থেকে ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটালে গুরুতর আহত হন তার স্বামী ও অটোরিকশা চালক। এ সময় স্থানীয়রা ধাওয়া দিয়ে তিনজনকে ধরে গণপিটুনী দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
অটোরিকশা চালক আব্দুল জলিল বলেন, কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগে হঠাৎ করে ককটেল বিস্ফোরণে অটোরিকশার যাত্রী আবুল বাশারের চোখে স্প্লিন্টার ঢুকে গেছে। আর বুকের বিভিন্ন জায়গায় কাঁচ ঢুকে মারাত্মকভাবে জখম হয়েছেন তিনি। এরপর তাদের ভর্তি করা হয় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্তব্যরত জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শংকর কুমার দে বলেন, আহত দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের মধ্যে একজনের চোখের অবস্থা খুব খারাপ। তার চোখে স্প্লিন্টার ঢুকে গেছে। ফলে তিনি চোখ হারাতেও পারেন।
রাজশাহী নগরীর বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাওয়ার্দী হোসেন বলেন, ককটেল হামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ছয়জনকে আটক করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।