শিরোনাম
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ধর্ষণের মামলা যেন না হয় তাই ষষ্ঠ শ্রেণির এক মাদরাসাছাত্রীকে (১৩) বিয়ে করেছেন ছাত্রলীগ নেতা আবু সুফিয়ান (২৮)। তিনি সুবর্ণচরের মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের চরলক্ষ্মী গ্রামের আবুল বাসারের ছেলে ও উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক।
বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) আদালতের মাধ্যমে এফিডেভিট করে ওই ছাত্রীর বয়স বাড়িয়ে বিয়ে করেন আবু সুফিয়ান।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. মহিউদ্দিন চৌধুরী।
তিনি জানান, ভিকটিম ও অভিযুক্ত ছেলে পরস্পর আত্মীয়। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে বৃহস্পতিবার তারা কোর্ট এফিডেভিটের মাধ্যমে বিয়ে করতে বাধ্য হয়েছে।
চেয়ারম্যান আরও জানান, ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবা-মা বুধবার (১৩ অক্টোবর) রাতে মৌখিকভাবে ধর্ষণের অভিযোগ করলে তাৎক্ষণিকভাবে চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউল হককে ফোনে অভিযোগের বিষয়টি জানানো হয়। ওসি ভুক্তভোগীদের থানায় পাঠাতে বললে তাদের সেই পরামর্শ দেওয়া হয়।
স্থানীয় সূত্র জানায়, মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) রাতে ছাত্রলীগ নেতা আবু সুফিয়ান ষষ্ঠ শ্রেণি পড়ুয়া মাদরাসাছাত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ঘটনাটি ভুক্তভোগী কিশোরী তার পরিবারের সদস্যদের জানালে তারা স্থানীয় মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন চৌধুরীরর কাছে মৌখিকভাবে অভিযোগ করেন। পরে ধর্ষণ মামলা থেকে বাঁচতে ওই ছাত্রীকে বিয়ের করতে সম্মত হন আবু সুফিয়ান। কিন্তু বাল্যবিয়ের খবর পেয়ে পুলিশ আসলে সবাই পালিয়ে যায়। পরে বৃহস্পতিবার কোর্টের মাধ্যমে বিয়ের এফিডেভিট করা হয়।
এ বিষয়ে জানতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আবু সুফিয়ানের মোবাইল নম্বরে কল করলেও তিনি ফোন ধরেননি। মেয়েপক্ষেরও কেউ কথা বলতে রাজি হননি।
চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউল হক জানান, বাল্যবিয়ের সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তবে অন্য কোনো বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। সূত্র: জাগো নিউজ