শিরোনাম
সিলেটে ব্রিটিশ আমলে তৈরি জীর্ণ ‘কিন ব্রিজ’ সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ)। ফলে দুই মাস এ ব্রিজ দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে।
বছর চারেক আগে সিটি করপোরেশন ব্রিজটির কার্পেটিংসহ সোডিয়াম বাতি লাগালেও মূল কাঠামোতে তেমন সংস্কার হয়নি।
রেলওয়ের পুর্বাঞ্চলের সেতু প্রকৌশলী জীষাণ দত্ত স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে জানানো হয়, ২৫ জুলাই থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কিন ব্রিজ দিয়ে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ থাকবে। এ ব্যাপারে সিলেট মহানগর পুলিশের সহায়তা চেয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান জানান, সপ্তাহ খানেক আগে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল কিন ব্রিজ মেরামতের জন্য চিঠি পাঠিয়েছ। চিঠিতে জানানো হয় সংস্কার কাজের জন্য দুই মাস বন্ধ থাকবে ব্রিজটি। যেহেতু ব্রিজের সংস্কার কাজের দায়িত্বে আছে রেলওয়ে তাই কাজটি তারাই করবে। সড়ক ও জনপথ বিভাগের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।
পুলিশের সহায়তা চেয়ে পত্রে লেখা হয়, সিলেটের ঐতিহাসিক এ সেতুতে অনিয়ন্ত্রিত যান চলাচলের কারণে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। সেতুর কয়েক জায়গায় যানবাহনের ধাক্কায় গার্ড রেলিং বেঁকে গেছে। কয়েক জায়গায় স্টিলের পাত ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে দুর্বল হয়ে পড়েছে। এতে যে কোনো সময় বড় দুর্ঘটনা শঙ্কা রয়েছে। সেজন্য ২৫ জুলাই থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কিন ব্রিজ দিয়ে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ থাকবে।
এর আগে গত ১০ জুলাই সেতুটির সংস্কার কাজের সময় যান চলাচল বন্ধ রাখতে এসএমপির সহযোগিতা চেয়ে পত্র দেন বাংলাদেশ রেলওয়ের পুর্বাঞ্চলের সেতু প্রকৌশলী জীষাণ দত্ত।
ব্রিটিশ আমলে তৈরি লোহার কাঠামোর দৃষ্টিনন্দন ‘কিন ব্রিজ’ নির্মাণ করেছিল রেলওয়ে বিভাগ। টানা দুই বছর নির্মাণকাজ শেষে ১৯৩৬ সালে সেতুটি চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছিল। তৎকালীন অসম (বর্তমান আসাম) প্রদেশের ব্রিটিশ গভর্নর মাইকেল কিনের নামে এ সেতুর নামকরণ করা হয় ‘কিন ব্রিজ’। প্রায় শতবছর ধরে দাঁড়িয়ে থাকা সেতুটি দেশের অন্যতম প্রাচীন এবং সিলেট অঞ্চলে সুরমা নদীর ওপর নির্মিত প্রথম সেতু।
এর দৈর্ঘ্য ১ হাজার ১৫০ ফুট এবং প্রস্থ ১৮ ফুট। নির্মাণের পরে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় ক্ষতিগ্রস্ত হয় সেতুটি। পরে ১৯৭৭ সালে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ প্রথম দফা সংস্কার করেছিল। এরপর কিন ব্রিজে আর বড় ধরণের কোনো সংস্কার হয়নি।