শিরোনাম
কক্সবাজারের চকরিয়ায় মহেশখালীর এক শিশু গৃহকর্মীকে নির্যাতন করে হত্যা মামলার প্রধান আসামি গৃহবধূ সুমা আক্তারকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১৫।
শনিবার কক্সবাজার সদরের ঝিলংজা ইউনিয়নের মুহুরীপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সুমা এতে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন বলে র্যাব জানিয়েছে।
র্যাব সূত্র ও শিশুটির পরিবারের অভিযোগে জানা যায়, গত ১০ মে চকরিয়ার বাসিন্দা কামাল হারুনের স্ত্রী সুমা আক্তার গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করা মহেশখালীর ঘটিভাংগা এলাকার মিফতাহ মণিকে (১০) নির্যাতন করেন। এতে সে মারা যায়। ঘটনার পর লাশ স্বামীর সহযোগিতায় ডিপ ফ্রিজে রেখে দেন। শিশুটির পরিবারকে জানানো হয়, ডায়রিয়ায় তার মৃত্যু হয়েছে।
পরে মরদেহ অ্যাম্বুলেন্সে করে গত ১১ মে মহেশখালীতে পাঠিয়ে দিয়ে হারুন ও তার স্ত্রী পালিয়ে যান। প্রত্যক্ষদর্শী ও পরিবারের সদস্যরা শিশুর শরীরে আঘাতের চিহ্ন এবং লাশ ফ্রিজে রাখার আলামত পেয়ে চকরিয়া থানায় বিষয়টি জানান। এ ঘটনায় মণির বাবা মো. সৈয়দ নুর চকরিয়া থানায় হত্যা মামলা করেন।
র্যাব-১৫ এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর সারাদেশে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হলে আসামিদের গ্রেপ্তারে গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু করে র্যাব। একপর্যায়ে শনিবার কক্সবাজারের ঝিলংজা ইউনিয়নের মুহুরীপাড়া থেকে প্রধান আসামি সুমা আক্তারকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে তার স্বামী কামাল হারুন ঘটনার পর থেকে পলাতক।
র্যাব আরও জানিয়েছে, গ্রেপ্তার সুমা চকরিয়ার কাকরা ইউনিয়নের হাজিয়ানপাড়ার বাসিন্দা। তিনি ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে তাকে চকরিয়া থানায় হস্তান্তর করেছে র্যাব।