শিরোনাম
বৃষ্টিপাতের সঙ্গে চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে বয়ে গেছে কালবৈশাখী ঝড়। এসময় বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৪৩ কিলোমিটার। শনিবার (২৯ এপ্রিল) জেলায় ১১ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
তবে এই ঝড়-বৃষ্টির মধ্যেও গরম কমেনি। আজ চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রার পারদ উঠেছে ৩৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। বৃষ্টি থামার পর থেকেই গরমে ঘামছে শরীর।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ জামিনুর রহমান বলেন, চুয়াডাঙ্গায় আজ ৩৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। সেইসঙ্গে বিকেল ৪টা ৫২ মিনিট থেকে ৫টা ১১ মিনিট পর্যন্ত কালবৈশাখী ঝড়সহ বৃষ্টিপাত হয়। তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে।
এদিকে, জেলার তিন উপজেলা চুয়াডাঙ্গা সদর, দামুড়হুদা ও জীবননগরের নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, কোনো উপজেলায় এই ঝড়ে তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। আর আলমডাঙ্গা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার মোবাইলফোন নম্বরটি বন্ধ থাকায় তার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
এ প্রসঙ্গে চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনিসুজ্জামান লালন বলেন, জেলার বিভিন্ন স্থানে ঝড় বৃষ্টি হয়েছে। তবে প্রাণহানিসহ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির কোনো খবর পাইনি। তারপরও থানাগুলোর প্রত্যন্ত অঞ্চলে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। রাত থেকেই বাড়তি নিরাপত্তাসহ জনগণের ভোগান্তি নিরসনে কাজ করছে পুলিশ সদস্যরা।
চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিভাস চন্দ্র সাহা বলেন, এই ঝড়ে চুয়াডাঙ্গা জেলায় মৌসুমি ফসলের কিছুটা ক্ষতি হতে পারে। আমরা নিরূপণ করে জানাবো। তবে এই ঝড়ের অতটা তীব্রতা ছিল না।
তিনি বলেন, আজকের বৃষ্টিপাতের কারণে ধানের বীজতলা ও আমের জন্য বেশ ভালো হবে। অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে শুকিয়ে যাওয়া আমের বোটায় রস পাবে আর বীজতলাও রস পাবে।