হাওরে পাকা ধান দ্রুত কাটতে মাইকিং

ফানাম নিউজ
  ১৮ এপ্রিল ২০২৩, ০০:১৫

আবহাওয়ার পূর্বাভাস জানিয়ে পাকা ধান কেটে ফেলতে গত তিনদিন ধরে নেত্রকোনার খালিয়াজুরীসহ হাওরাঞ্চলে মাইকিং করা হচ্ছে।

আবহাওয়া বিভাগের বরাত দিয়ে বলা হচ্ছে, আগামী ২৩ এপ্রিল থেকে ৩ মে পর্যন্ত ভারতের মেঘালয় রাজ্যের চেরাপুঞ্জিতে টানা ১১ দিন ভারি বৃষ্টিপাত হতে পারে। এসময় কালবৈশাখী ও শিলাবৃষ্টিসহ ভারি বৃষ্টিপাতে হাওরাঞ্চলে আগাম বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। এ অবস্থায় হাওরে ৮০ শতাংশ পাকা ধান কেটে ফেলতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খালিয়াজুরী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম।

তিনি বলেন, খালিয়াজুরী উপজেলার হাওরে ১৮ হাজার ৯১০ হেক্টর জমিতে বোরোর আবাদ করা হয়েছে। এ পর্যন্ত উপজেলার প্রায় ৫৩ শতাংশ জমির ধান কাটা হয়েছে। আরও ৩০ শতাংশ জমিতে পাকা ধান রয়েছে। মাত্র ১৫ শতাংশ ধান এখনো কাঁচা রয়েছে। ২৩ এপ্রিলের মধ্যে পাকা ধান কাটা না হলে পাকা ফসল ঝুঁকিতে পড়বে।

নেত্রকোনার হাওরসহ নিম্নাঞ্চলে প্রায় অর্ধেক বোরো ধান কাটা হয়ে গেছে। সোমবার (১৭ এপ্রিল) বিকেল পর্যন্ত জেলার মদন, মোহনগঞ্জ, খালিয়াজুরী, কলমাকান্দাসহ বিভিন্ন এলাকায় ৪৯ শতাংশ ক্ষেতের বোরো ধান কাটা হয়ে গেছে। আগামী ১০ দিনের মধ্যে হাওরের শতভাগ ধান কাটা হয়ে যাবে বলে আশা করছে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোহাম্মদ নুরুজ্জামান বলেন, জেলায় এবার ৪০ হাজার ৯৭৪ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ করা হয়েছে। এরমধ্যে ৪৯ শতাংশ ক্ষেতের বোরো ধান কাটা হয়ে গেছে। আশা করা যাচ্ছে, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে বাকি ধান কাটা শেষ হবে।

কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলায় ১ লাখ ৮৪ হাজার ৭৩৫ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ করা হয়। এরমধ্যে হাওরে ৪০ হাজার ৯৭৪ হেক্টর জমি রয়েছে। গত এক সপ্তাহ ধরে এসব ক্ষেতের পাকা ধান কাটতে শুরু করেছেন কৃষকরা।

এবার এখন পর্যন্ত হাওরে পানি না আসায় কৃষকরা স্বস্তিতে ধান কাটছেন। শ্রমিকদের পাশাপাশি সাত শতাধিক কম্বাইন্ড মেশিনের সাহায্যে ধান কাটা হচ্ছে। সোমবার পযন্ত হাওরাঞ্চলের অর্ধেক জমির ধান কাটা শেষ হয়েছে। যেভাবে ধান কাটা হচ্ছে তাতে আগামী ১০ দিনের মধ্যে শতভাগ ধান কাটা শেষ হবে বলে আশা করছেন স্থানীয়রা।

এদিকে, আপাতত বৃষ্টি বা বন্যার তেমন কোনো পূর্বাভাস নেই বলে জানিয়েছে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।

জেলা পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী সারওয়ার জাহান বলেন, পাউবোর বন্যা পূর্বাভাস ও শতর্কীকরণ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে কোনো বন্যা পরিস্থিতির আশঙ্কা নেই। কৃষকরা যাতে নির্বিঘ্নে ফসল কেটে ঘরে তুলতে পারেন সেজন্য আমরা ছুটি বাতিল করে সর্বক্ষণ মাঠে রয়েছি।