শিরোনাম
নাটোরে বিএনপির কেন্দ্রঘোষিত পদযাত্রা কর্মসূচিতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে সিংড়া উপজেলার রামানন্দ খাজুরা ইউনিয়নের কৈগ্রাম এলাকায় বিএনপির পদযাত্রায় আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের হামলায় সাতজন আহত হয়েছেন। নলডাঙ্গা উপজেলা সদরে আওয়ামী লীগ কর্মীদের হামলায় থানা বিএনপির নেতাসহ কমপক্ষে আটজন আহত হন।
সকালে নাটোর সদর উপজেলার পীরগঞ্জ বাজারে বিএনপি বিক্ষাভ সমাবেশ করতে গেলে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা সেখানে সমাবেত হতে থাকেন। একপর্যায়ে দুই পক্ষের বাগবিতণ্ডা হয়। পরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা লাঠিসোঠা নিয়ে ধাওয়া দিলে পিছু হটেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। এসময় আহত হন অন্তত পাঁচজন।
সদর উপজেলার ছাতনী ইউনিয়নের দিয়াড় মাদ্রাসাঘাট বটতলায় সমবেত হন বিএনপির নেতাকর্মীরা। স্থানীয় নেতারা পদযাত্রা শুরু করার আগেই সেখানে বক্তব্য দিতে শুরু করেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। এসময় জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম ও পৌর বিএনপির সদস্যসচিব জিল্লুর রহমান খান চৌধুরী সেখানে বক্তব্য দেন। পরে তারা ব্যানার নিয়ে ছাতনী উচ্চ বিদ্যালয়ে পৌঁছানোর আগেই পেছনের রাস্তা দিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা স্লোগান দিতে দিতে বিএনপির সমাবেশ করার স্থানে সমাবেশ করেন।
এসময় শান্তি সমাবেশে বক্তব্য দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও ছাতনী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন সরকার, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি দুলাল সরকার ও সাধারণ সম্পাদক দুলাল মণ্ডল, ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি এমরান সরকার প্রমুখ।
এ বিষয়ে নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসিম আহমেদ বলেন, বিএনপির কর্মসূচিতে উত্তেজনা দেখা দিলে পুলিশ নিয়ন্ত্রণ করে। কেউ আহত হওয়ার বিষয়টি তিনি জানেন না।
নলডাঙ্গায় উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেনসহ মাধনগর ইউনিয়ন ও পিপরুল ইউনিয়ন বিএনপির অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। সকালে মাধনগর ও পিপরুল ইউনিয়ন বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে এ হামলা করা হয়। আহতদের নাটোর শহরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নলডাঙ্গা থানার ওসি আবুল কালাম বলেন, বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে কোনো হামলার ঘটনা ঘটেনি। কেউ আহত হননি। তবে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ও ধাক্কাধাক্কি হয়েছে।
অন্যদিকে দুপুর ১২টার দিকে সিংড়া উপজেলার রামানন্দ খাজুরা ইউনিয়নের কৈগ্রাম এলাকায় বিএনপির পদযাত্রায় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের হামলা চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় অন্তত সাতজন আহত হন। চৌগ্রাম ও ইটালী ইউনিয়নেও হামলার অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব দাউদার মাহমুদ বলেন, বিএনপির শান্তিপূর্ণ পদযাত্রায় হামলা চালানো হয়েছে। কয়েকজন নেতাকর্মীকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
তবে রামানন্দ খাজুরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করেছি। বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর কোনো হামলা করা হয়নি।
সিংড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম বলেন, থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ আসেনি।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মহিদুল ইসলাম বাচ্চু দাবি করেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগ হামলা চালিয়ে অন্তত ২০ জনকে আহত করেছে।
তবে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজান বলেন, আওয়ামী লীগ তাদের দলীয় কর্মসূচি পালন করেছে। কোনো হামলার বিষয়ে তিনি জানেন না।