শিরোনাম
সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার পঞ্চম দফার দ্বিতীয় দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে। সোমবার (১১ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টায় দ্বিতীয় দিনে ২৭ তম সাক্ষী সার্জেন্ট মো. জিয়াউর রহমানকে দিয়ে আদালতের কার্যক্রম শুরু হয়।
সোমবার সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য সার্জেন্ট মো. জিয়াউর রহমান, সার্জেন্ট আনিসুর রহমান, আহমদ কবির মনু, সৈয়দ কালাম ওরফে ধলা মিয়া ও মো. কামরুল হাসান কে আদালতে উপস্থিত করা হয়েছে।
এর আগে, সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে কক্সবাজার জেলা কারাগার থেকে মামলার ১৫ আসামিকে প্রিজন ভ্যানে করে কড়া পুলিশ পাহারায় আদালতে আনা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদুল আলম জানান, সকাল সাড়ে ১০ টারদিকে পঞ্চম দফায় ২৭ নম্বর সাক্ষী সার্জেন্ট মো. জিয়াউর রহমানের সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্যদিয়ে আদালতের বিচারকাজ শুরু হয়। এছাড়া আরও চার জন সাক্ষী আদালতে উপস্থিত রয়েছেন।
গত বছর ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। এ ঘটনায় গত বছর ৫ আগস্ট সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও বাহারছড়া তদন্ত সাবেক ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ ৯ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলায় প্রধান আসামি করা হয় লিয়াকত আলীকে। আদালত মামলার তদন্তভার র্যাবকে দেন।
ঘটনার ছয় দিন পর ওসি প্রদীপ ও পরিদর্শক লিয়াকতসহ সাত পুলিশ সদস্য আত্মসমপর্ণ করেন। ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় একটি এবং রামু থানায় আরেকটি মামলা দায়ের করে।
পরে র্যাব পুলিশের দায়ের মামলার তিন সাক্ষী এবং শামলাপুর চেকপোস্টে দায়িত্বরত আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) তিন সদস্যকে গ্রেফতার করে। এরপর গ্রেফতার করা হয় টেকনাফ থানা পুলিশের সাবেক কনস্টেবল রুবেল শর্মাকে। সর্বশেষ গত ২৪ জুন আদালতে আত্মসমর্পণ করেন টেকনাফ থানার সাবেক এএসআই সাগর দেব।
গত বছর ১৩ ডিসেম্বর র্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের তৎকালীন দায়িত্বরত সহকারী পুলিশ সুপার খাইরুল ইসলাম ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। ২৭ জুন আদালত ১৫ জন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এতে সাক্ষী করা হয় ৮৩ জনকে। সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন