শিরোনাম
বরিশালের গৌরনদীতে নামধারী পল্লী চিকিৎসকের দেওয়া গর্ভপাতের ওষুধ খেয়ে পাঁচ মাসের এক অন্তঃসত্ত্বা নারীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। মৃত ওই নারীর নাম রেখা বেগম (৩৫)। তিনি উপজেলার ব্রাহ্মণগাঁও গ্রামের কাঞ্চন হাওলাদারের দ্বিতীয় স্ত্রী।
রেখা বেগমের স্বজনরা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, দুই সন্তানের জননী রেখা বেগম প্রায় পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। গর্ভপাতের জন্য তার স্বামী কাঞ্চন (৬৫) তাকে নিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে বার্থি বাজারের মৌ মেডিকেল হলে যান। ফার্মেসি মালিক ও নামধারী পল্লী চিকিৎসক হেলাল আকন গর্ভপাতের জন্য রেখাকে ওষুধ খেতে দেন। হেলালের পরামর্শে রেখা বৃহস্পতিবার চারবার ওই ওষুধ খেয়ে পেটের ব্যথাসহ ভীষণ অসুস্থ হয়ে পড়েন।
গৃহবধূর স্বামী কাঞ্চন রাতেই বিষয়টি মোবাইলে পল্লী চিকিৎসক হেলাল আকনকে জানান। তখন তিনি (হেলাল) ওষুধ নিতে লোক পাঠাতে বললে কাঞ্চন তার নাতিকে পাঠান।
হেলাল আকন পুনরায় ওষুধ খেতে দেয়। দ্বিতীয় দফায় দেওয়া ওষুধ খেয়ে অন্তঃসত্ত্বা রেখা বেগম গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। গর্ভপাত হবে বলে কথিত ডাক্তারের পরামর্শে রেখাকে হাসপাতালে না নেওয়া হলে বৃহস্পতিবার রাত দেড়টার দিকে নিজ বাড়িতেই তার মৃত্যু হয়।
খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ মর্গে পাঠাতে চাইলে তারা (স্বজনরা) রেখার লাশ থানায় নিতে দেয়নি। পুলিশ লাশ নিতে ব্যর্থ হয়ে সেবনকৃত ওষুধের স্যাম্পল ও কাঞ্চনের মোবাইল ফোন থেকে কথিত ডাক্তারের মোবাইল নাম্বার উদ্ধার করে চলে আসে।
গৃহবধূ রেখার স্বামী কাঞ্চন হাওলাদার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ডাক্তার হেলালের বিরুদ্ধে মামলা করে কী হবে? আমি যাকে হারিয়েছি, তাকে কি আর কখনও ফিরে পাওয়া যাবে?
অভিযোগের বিষয়ে পল্লী চিকিৎসক হেলাল আকন বলেন, আমি গর্ভপাতের কোনো ওষুধ দিইনি। আমার দোকানে এসে পেটের ব্যাথার চারটি ট্যাবলেট নিয়েছে। আমার ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য প্রতিপক্ষরা আমার বিরুদ্ধে কুৎসা রটাচ্ছে।
সূত্র: আরটিভি