শিরোনাম
নৌযান শ্রমিকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহারের পর চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পণ্য খালাস শুরু হয়েছে। সোমবার (২৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব মো. ওমর ফারুক।
তিনি বলেন, নৌযান শ্রমিকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহারের পর সন্ধ্যা থেকে বহির্নোঙরের মাদার ভ্যাসেল থেকে পণ্য খালাস শুরু হয়েছে। আশা করছি পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
এর আগে এদিন বিকেল শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ানের সঙ্গে নৌযান মালিক ও শ্রমিকদের সংগঠনের বৈঠকের পর কর্মবিরতি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেওয়া হয়।
পরে সংবাদ সম্মেলনে মন্নুজান সুফিয়ান বলেন, বৈঠকে মালিক শ্রমিকরা তাদের দাবি জানিয়েছেন। আমরা তাদের দাবি ও সমস্যাগুলো দেখছি। একমাসের মধ্যে শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণে কমিটি করেছি। আর এই একমাস শ্রমিকদের অন্তর্বতীকালীন ভাতা দেওয়অর জন্য মালিকপক্ষকে বলেছি।
তিনি বলেন, এরমধ্যে মাঝখানের একটি পক্ষ বিশৃঙ্খলা করেছে। কয়েক জায়গায় হামলা হয়েছে। গ্রেফতার ও মামলা হয়েছে। সেটাও আমরা দেখবো। সে মামলাগুলো প্রত্যাহার করা হবে। তাতে আমরা সহযোগিতা করবো বলে শ্রমিকদের আশ্বস্ত করেছি।
নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি নবী আলম বলেন, বিকেল সোয়া ৫টা থেকে নৌযান চলাচল স্বাভাবিক হয়ে গেছে। চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরসহ কর্ণফুলী নদীর ঘাটগুলোতে পণ্য খালাস শুরু করে দিয়েছেন শ্রমিকরা। একইভাবে সারাদেশের পণ্যবাহী নৌযান গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে।
তিনি বলেন, মন্ত্রণালয়ে বৈঠকে নৌযান শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে শ্রমিকদের মজুরি নির্ধারিত হবে। আমাদের দাবি ছিল ন্যূনতম মজুরি ২০ হাজার টাকা। তবে এই গেজেট নোটিফিকেশন না হওয়া পর্যন্ত এক হাজার টনের নিচের জাহাজের প্রত্যেক শ্রমিককে এক হাজার দুইশ টাকা ও এক হাজার টনের ওপরের জাহাজের প্রত্যেক শ্রমিককে দেড় হাজার টাকা করে বেতনের অতিরিক্ত ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
নৌযান শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ২০ হাজার টাকা ও কর্মক্ষেত্রে মৃত্যুজনিত ক্ষতিপূরণ ১০ লাখ টাকা নির্ধারণসহ বিভিন্ন দাবিতে গত শনিবার দিনগত রাত থেকে সারাদেশে কর্মবিরতি পালন করেছেন নৌযান শ্রমিকরা। কর্মবিরতির কারণে সোমবার বিকেল পর্যন্ত সদরঘাট থেকে কোনো লঞ্চ ছেড়ে যায়নি। এতে ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ যাত্রীরা।