শিরোনাম
বরিশালে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ শেষ হয়েছে সন্ধ্যার আগে। এর পরপরই বরিশাল থেকে ঢাকাগামী লঞ্চ চলাচল শুরু হয়েছে। দুদিন বন্ধ থাকার পর বরিশাল-ভোলা রুটে স্পিডবোটও চলছে।
রোববার (৬ নভেম্বর) সকাল থেকে বরিশালের অভ্যন্তরীণসহ ১২টি রুটে লঞ্চ এবং দূরপাল্লাসহ আগের মতো বিভিন্ন রুটে বাস চলাচল করবে মালিক সূত্রে জানা গেছে।
অন্যদিকে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ শেষে নগরীতে রিকশা, ভ্যান, অটোরিকশা, মাহিন্দ্রাসহ থ্রি-হুইলার যানের চলাচল বেড়েছে।
বিআইডব্লিউটিএ বরিশাল কার্যালয়ের বন্দর কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘সন্ধ্যার দিকে জানতে পারি ঢাকাগামী লঞ্চ আজ রাতে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছাড়া হবে। নদীবন্দরে নোঙর করে রাখা এমভি সুন্দরবন-১১, এমভি প্রিন্স আওলাদ ও এমভি পারবত-১৮ এই তিনটি বড় লঞ্চে যাত্রী তোলা হয়েছে। রাত সাড়ে ৮টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে যাত্রী নিয়ে লঞ্চগুলো ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়ার কথা রয়েছে।’
বরিশাল বিভাগীয় বাস মালিক সমিতির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও বরিশাল-পটুয়াখালী মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাওছার হোসেন শিপন বলেন, মহাসড়কে তিন চাকার যানবহনসহ অনুমোদহীন নসিমন-করিমন ও অন্যান্য যানবহন চলাচল বন্ধসহ বিভিন্ন দাবিতে বাস মালিক ও পরিবহন শ্রমিকরা দুদিনের কর্মবিরতির কর্মসূচি দিয়েছিলেন। আজ রাতে তা শেষ হবে। রোববার সকাল থেকে দূরপাল্লাসহ আগের মতো সব রুটে বাস চলাচল শুরু হবে। রাতে বাস মালিক সমিতি ও শ্রমিক নেতারা বৈঠক করেছেন। বৈঠক শেষে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার (৪ নভেম্বর) ভোর থেকে কেন্দ্রীয় নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে দূরপাল্লাসহ অভ্যন্তরীণ ১৪টি রুটে এবং রুপাতলী বাস টার্মিনাল থেকে ২১টি অভ্যন্তরীণ রুটে যাত্রীবাহী বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। একইভাবে বরিশাল নদীবন্দর থেকে ১২টি নৌরুটেও লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে। সেইসঙ্গে বন্ধ ছিল স্পিডবোট, মাইক্রোবাস ও থ্রি-হুইলার যান চলাচল। একইদিন রাতে বড় একটি লঞ্চও ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়নি। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে যাত্রীদের।
তবে বরিশালের বিএনপি নেতারা বলেছেন, বিভাগীয় গণসমাবেশে জনসমাগম বাধাগ্রস্ত করতে লঞ্চ, স্পিডবোট, বাস, মাইক্রোবাস, থ্রি-হুইলার যান বন্ধ রাখা হয়েছিল। তবে কাজ হয়নি। বেলা ১১টায় সমাবেশ শুরু হয়ে সন্ধ্যায় শেষ হয়। সমাবেশস্থলসহ আশপাশের এলাকায় লোকে লোকারণ্য ছিল।