শিরোনাম
রংপুরের কাউনিয়ায় রেলওয়ের টিকিট বিক্রির প্রায় ৩৪ লাখ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে বুকিং মাস্টার মিশুক আল মামুনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় বুকিং মাস্টার মামুনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া দায়িত্বে অবহেলার দায়ে কাউনিয়া স্টেশন মাস্টার বাবু আল রশিদকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চল ডিভিশনাল ম্যানেজার শাহ সুফি নুর মোহাম্মদ বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, কাউনিয়া রেলওয়ে স্টেশনে গত ছয়মাস ধরে লালমনিরহাট ও রংপুর এক্সপ্রেস আন্তঃনগরসহ বিভিন্ন রুটের ১৪টি ট্রেনের টিকিট বিক্রির কোনো টাকা রেলওয়ে কোষাগারে জমা না হওয়ায় বিষয়টি তার নজরে আসে গত ২৪ সেপ্টেম্বর। গত ৪ অক্টোবর কাউনিয়া রেলওয়ের প্রধান টিকিট বুকিং ম্যানেজার মিশুক আল মামুনকে তার কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর টিকিট বিক্রির প্রায় ৩৪ লাখ টাকা কোষাগারে জমা না করে আত্মসাতের ঘটনাটি নিশ্চিত হওয়া যায়।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় লালমনিরহাট রেলওয়ে জুনিয়র ট্রাফিক ইন্সপেক্টর ছহির উদ্দিন বাদী হয়ে ৪ অক্টোবর কাউনিয়ার প্রধান টিকিট বুকিং মাস্টার মিশুক আল মামুনের বিরুদ্ধে দুদকে মামলা দায়ের করেন। মামলায় মিশুক আল মামুনকে গ্রেপ্তার করে রংপুর আদালতে পাঠানো হলে বিচারক শুনানি শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এছাড়া এ ঘটনায় টিকিট বুকিং ম্যানেজারের সঙ্গে কাউনিয়া স্টেশন মাস্টার বাবু আল রশিদের সম্পৃক্ততা আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
শাহ সুফি নুর মোহাম্মদ জানান, রেলওয়ের একমাত্র রাজস্ব আদায় হয় যাত্রীদের কাছে টিকিট বিক্রি থেকে। নিয়ম রয়েছে স্টেশনের টিকিট বুকিং ম্যানেজার কাউন্টারে প্রতিদিনের যাত্রীদের কাছে টিকিট বিক্রির টাকা হিসেব করে স্টেশন মাস্টারের কাছে জমা দেন। আর স্টেশন মাস্টারের দায়িত্ব সেই টাকা সরকারি কোষাগারে জমা করা। অথচ কাউনিয়া রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার বাবু আল রশিদ গত ছয়মাস ধরে লালমনিরহাট ও রংপুর এক্সপ্রেস আন্তঃনগরসহ বিভিন্ন রুটের ১৪টি ট্রেনের টিকিট বিক্রির কোনো টাকা বুঝে নেননি। স্টেশন মাস্টারের উদাসীনতা ও নজরদারির অভাবে প্রধান টিকিট বুকিং ম্যানেজার মিশুক আল মামুন রেলের টাকা আত্মসাৎ করেন।
এ বিষয়ে কাউনিয়া স্টেশন মাস্টার বাবু আল রশিদের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য তার মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলে তিনি ফোন ধরেননি।