শিরোনাম
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) হলের তৃতীয় তলার বারান্দা থেকে পড়ে আহত এক শিক্ষার্থী রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে মারা গেছেন। এ ঘটনায় হাসপাতালে ব্যাপক ভাঙচুর করেছেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। তাদের অভিযোগ, ওই শিক্ষার্থী ঠিকভাবে চিকিৎসাসেবা পাননি।
বুধবার (১৯ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৯টায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। নিহত শিক্ষার্থীর নাম শাহরিয়ার। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র। তার গ্রামের বাড়ি দিনাজপুরের বিরল উপজেলায়। তিনি হবিবুর রহমান হলের ৩৫৪ নম্বর কক্ষের আবাসিক শিক্ষার্থী।
এর আগে রাত সাড়ে ৮টার দিকে ওই শিক্ষার্থীকে গুরুতর আহত অবস্থায় রামেক হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে রামেক হাসপাতালের ওয়ার্ড ও পরিচালকের কক্ষের সামনের অংশে শিক্ষার্থীরা ভাঙচুর চালান। এসময় রাবির প্রায় দুইশ শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, রাত ৮টার দিকে আহত অবস্থায় তাকে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তার সহপাঠীদের অভিযোগ ওই শিক্ষার্থীর চিকিৎসা ঠিকমতো হয়নি। এরই প্রতিবাদে তারা হাসপাতালে ভাঙচুর শুরু করে। তবে এখন পর্যন্ত কী পরিমাণ ভাঙচুর চালিয়েছে সেটি আমার জানতে পারিনি। আমি পুলিশ কমিশনারকে বিষয়টি জানাচ্ছি। তারা আসলে পরিস্থিতি শান্ত হলে অবস্থা বোঝা যাবে।
এ বিষয়ে রাজশাহী মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার রফিকুল আলম বলেন, রামেক হাসপাতালে রাবির এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। এতে তার সহপাঠীরা সেখানে ভাঙচুর চালিয়েছে। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছি।
এদিকে, রাত ১০টায় এ প্রতিবেদন লেখার সময় সেখানে প্রায় ২০০ শিক্ষার্থী অবস্থান করছেন। হাসপাতাল এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ হবিবুর রহমান হলের এক আবাসিক শিক্ষার্থী হল থেকে পড়ে গুরুতর আহত হয়। পরে তাকে রামেক হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মাথা ফেটে প্রচুর রক্তক্ষরণ হওয়ায় তার মৃত্যু হয়েছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।