শিরোনাম
নদী পারাপারের জন্য টানা চারদিন রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে অপেক্ষা করছে শতশত যানবাহন। ঢাকামুখী যানবাহনসহ অন্যান্য জেলা থেকেও আসা যানবাহনগুলোকে অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে। ধারাবাহিকভাবে শুরু হওয়া এই যানবাহনের দীর্ঘ সারিতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকার জন্য বিপাকে পড়েছে সাধারণ যাত্রী ও ট্রাক চালকরা।
এ ছাড়া মহাসড়কের গোয়ালন্দ উপজেলার সামনে ওয়েট স্কেলে পণ্যবাহী ট্রাকের ওজন করার সময় রাস্তায় সবসময়ই যানজট লেগেই থাকছে।
শুক্রবার (৮ অক্টোবর) সকাল থেকেই ঘাটে দেখা যায়, যাত্রীবাহী যানবাহন নদী পারাপারের জন্য অপেক্ষা করছে। পচনশীল পণ্যবাহী ট্রাক বাদে অন্যান্য পণ্যবাহী ট্রাকগুলোকে অপেক্ষা করতে হচ্ছে দিনের পর দিন। অনেক ট্রাক চালক আবার চারদিন আগে এসেও এখনও ফেরির দেখা পায়নি।
রাজবাড়ী পুলিশ প্রশাসন ঘাটে যানজট এড়াতে দৌলতদিয়া ঘাট থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে গোয়ালন্দ মোড়ে কুষ্টিয়া সড়কের একপাশজুড়ে পণ্যবাহী ট্রাকগুলো রাখা হয়েছে। ঘাটে ফেরি কম থাকায় ওই রাস্তার খোলা জায়গায় রাতে নিরাপত্তাহীনতায় ট্রাক চালকদের দুই থেকে তনিদিন করে অপেক্ষা করতে হচ্ছে। আর এ সমস্যা হচ্ছে অনেক ধরে।
দুপুর ২টা পর্যন্ত সর্বশেষ ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের বাংলাদেশ হ্যাচারি পর্যন্ত যানবাহনের দীর্ঘ সারি দেখা গেছে। এর মধ্যে যাত্রীবাহী বাসও রয়েছে। তবে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যাত্রীবাহী বাস নদী পার করায় তেমন একটা অপেক্ষা করতে হচ্ছে না তাদের। চার-পাঁচ ঘণ্টা অপেক্ষার পরই দূরপাল্লার বাসগুলো নদী পার হচ্ছে।
বেনাপোল থেকে ছেড়ে আসা মেঘনা ঘাটগামী ট্রাকচালক ইসমত আলী জানিয়েছেন, তিন দিন ধরে ঘাট পারাপারের জন্য অপেক্ষা করছি। গোয়ালন্দ মোড়ে ঘাটের সিরিয়ালের জন্য আটকে থাকার পর আজ বেলা ১১টায় এ পর্যন্ত এসেছি। ঘাট থেকেও আরও দেড় কিলোমিটার দূরে আছি। আর কতক্ষণ লাগবে কে জানে। আরও সমস্যা হচ্ছে আশেপাশে ভালো খাবারের হোটেল, বাথরুম নেই। এ জন্য আরও বেশি সমস্যা হচ্ছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কার্যালয় (বিআইডাব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাট ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) শিহাব উদ্দিন জানিয়েছেন, আমাদের আজকে ফেরি চলাচল করছে ১৯টি। আর আমাদের ঘাট চালু আছে চারটি। আমরা চেষ্টা করছি এই দীর্ঘ সারি ঘাট এলাকায় যেন না থাকে। তবে তিনি এই দীর্ঘ সারিকে স্বাভাবিক বলেই মনে করছেন।
সূত্র: আরটিভি