শিরোনাম
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির আছারতলী সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় মিয়ানমার বাহিনীর পুঁতে রাখা স্থলমাইন বিস্ফোরণে আব্দুল কাদের (৫২) নামে এক রোহিঙ্গার পা বিচ্ছিন্ন হয়েছে বলে জানা গেছে।।
মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। আহত আবদুল কাদের ঘুমধুম ছনখোলা ছেরাকুল এলাকার মীর আহমদের ছেলে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সীমান্তের কাঁটাতারের কাছে আব্দুল কাদেরের গরু ঘাস খাচ্ছিল। বিকালে গরু আনতে গেলে স্থলমাইন বিস্ফোরণে তার ডান পা বিচ্ছিন্ন হয়ে উড়ে যায়। তাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে প্রথমে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের একটি হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সন্ধ্যার দিকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। আব্দুল কাদের এখন ওই হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে চিকিৎসাধীন।
ঘটনার বিষয়ে ঘুমধুম ইউপি চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, সীমান্তের কাছে গেলে এক রোহিঙ্গা মাইন বিস্ফোরণে আহত হয়েছে বলে শুনেছি। তবে বিস্তারিত জানতে পারিনি।
এর আগেও মাইন বিস্ফোরণের একাধিক ঘটনা ঘটেছে সীমান্ত এলাকায়।
গত রোববার সীমান্তবর্তী তুমব্রু বাজারের পার্শ্ববর্তী কোনাপাড়া এলাকায় শূন্যরেখায় আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের কয়েকজন সদস্য ঝিরিতে মাছ ধরতে যান। এ সময় রোহিঙ্গারা সীমান্তের কাঁটাতার ঘেঁষা মাটির নিচে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর পুঁতে রাখা ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরিত হয়।
এতে ঘটনাস্থলেই রোহিঙ্গা কিশোর ওমর ফারুকের (১৭) মৃত্যু হয়। এ সময় আবদুর সাহাবুল্লাহ নামে আরও একজন রোহিঙ্গা মারাত্মক আহত হয়। গত মাসের ১৬ সেপ্টেম্বর সীমান্তে চোরাইপথে গরু আনতে গিয়ে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে পাহাড়ি সম্প্রদায়ের এক বাংলাদেশি যুবকের পা বিচ্ছিন্ন হয়।