শিরোনাম
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় বিয়ের ১০ বছর পর কোনো ধরনের অস্ত্রোপচার ছাড়াই একসঙ্গে পাঁচ সন্তানের জন্ম দিয়েছেন এক গৃহবধূ। তবে তিনি সবই মৃত সন্তান প্রসব করেছেন। ওই ঘটনায় ভেঙে পড়েছেন ওই গৃহবধূ। কান্না থামছে না পরিবারটির।
গতকাল দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা বাজারের অ্যাপোলো ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে।
ওই গৃহবধূর নাম সালমা খাতুন। তিনি দামুড়হুদা উপজেলার কানাইডাঙ্গা গ্রামের কৃষক ঝন্টু মিয়ার স্ত্রী।
বর্তমানে ওই গৃহবধূ সুস্থ রয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন প্রতিষ্ঠানটির কর্তব্যরত চিকিৎসক মাসুমা ফেরদৌস।
ক্লিনিকের মালিক মামুন অর রশিদ শাওন বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর প্রসব বেদনা শুরু হলে কানাইডাঙ্গা গ্রামের ঝন্টু মিয়া তার স্ত্রীকে আমার ক্লিনিকে নিয়ে আসেন। পরে নরমাল ডেলিভারিতে পাঁচটি মৃত সন্তান প্রসব করেন তিনি। এরমধ্যে ১টি মেয়ে, ২টি ছেলে ও ২টি সন্তান জোড়ালেগে থাকায় ছেলে নাকি মেয়ে বোঝা যায়নি।
কর্তব্যরত চিকিৎসক মাসুমা ফেরদৌস বলেন, ক্লিনিকে আসার পরপরই নরমাল ডেলিভারি হয় ওই গৃহবধূর। পরপর ৫টি মৃত সন্তান প্রসব করেন তিনি। বাচ্চাগুলোর বয়স মাত্র সাড়ে ৪ মাস। অপুষ্ট হওয়ায় মারা গেছে বাচ্চাগুলো। এটা মূলত জরায়ুতে সমস্যার কারণে হয়েছে। তবে, তিনি সুস্থ রয়েছেন।
সালমা খাতুনের স্বামী ঝন্টু মিয়া বলেন, আমাদের দাম্পত্য জীবন ১০ বছরের। এরমধ্যে অনেক চেষ্টা করেও আমাদের কোনো সন্তান হয়নি। কয়েকমাস আগে আমার স্ত্রী গর্ভবতী হয়। আজ সন্ধ্যায় আমার স্ত্রীর হঠাৎ প্রসব বেদনা শুরু হয়। তাকে দ্রুত ক্লিনিকে নিয়ে আসি। পর্যায়ক্রমে পাঁচ সন্তানের জন্ম হলেও মারা যায় তারা।