শিরোনাম
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি-মিয়ানমারের ১৮ কিলোমিটার সীমান্তে মানুষের নিত্যসঙ্গী এখন মিয়ানমারের অভ্যন্তরের বিভিন্ন প্রকার বিস্ফোরণের বিকট আওয়াজ। কখনও অনবরত, কখনও থেমে থেমে, সীমান্তের আওতাধীন ৩৪-৪৬ পিলারের কাছাকাছি বসবাসরত হাজারও মানুষ শুনছেন বিস্ফোরণের শব্দ।
চলমান মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও আরকান আর্মির মাঝে রক্তঝরা সংঘর্ষের জেরে ব্যবহারিত বিভিন্ন গোলাবারুদের বিস্ফোরণের শব্দে কাঁপছে বাংলাদেশের সীমান্তের বেশ কিছু জায়গা। তবে আতঙ্কে সীমান্ত জনপদের অনেকের মাঝে নেমে এসেছে অর্থনৈতিক অসচ্ছলতা। আবার অনেকে জীবনের নিরাপত্তার জন্য সরে গেছেন অন্যত্র।
এদিকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম কোনারপাড়া জিরো পয়েন্ট বসবাসরত রোহিঙ্গাদের মাঝে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। গতকাল তুমব্রু কোনারপাড়া জিরো পয়েন্টে মানববন্ধন করেছেন রোহিঙ্গারা। একই সঙ্গে নিরাপত্তা চেয়ে জাতিসংঘের কাছে চিঠিও দিয়েছে বলে জানিয়েছেন রোহিঙ্গা নেতা দিল মোহাম্মদ। তার স্বাক্ষরিত চিঠিটি মেইলের মধ্যমে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে পাঠানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন তিনি।
ঘুমধুম ইউনিয়নের স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বলেন, পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক মনে হলেও এলাকার মানুষ এখনও আতঙ্কে রয়েছে। কারণ, এখনও মাঝে মাঝে গোলার শব্দ শোনা যাচ্ছে।
ঘুমধুম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান একে এম জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক মনে হচ্ছে। তবে সব ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে বিজিবি। একই সঙ্গে বিজিবির টহলও আগের চেয়ে বাড়ানো হয়েছে।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সালমা ফেরদৌস বলেন, বিজিবির সদস্যরা কড়া নিরাপত্তায় রয়েছেন।