সীমান্তে গোলা বর্ষণ : ঝুঁকিপূর্ণ পরিবার বাছাই করা হচ্ছে

ফানাম নিউজ
  ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৮:১৮

নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্ত থেকে ঝুঁকিপূর্ণ পরিবারগুলো সরিয়ে নেয়ার বিষয় বাছাই করার জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তবে অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার বিষয়ে পরিবারগুলোর মতামতকে প্রধান্য দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন বান্দরবানের জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি। সীমান্তের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে সোমবার সকালে তিনি তুমব্রু সীমান্তের বিভিন্ন জায়গা পরিদর্শন করেন।

এ সময় তিনি নোম্যান্স ল্যান্ডসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঘুরে দেখেন এবং ঘুমধুম থেকে স্থানান্তরিত হওয়া উখিয়ার কুতুপালং উচ্চ বিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। জেলা প্রশাসকের সঙ্গে বান্দরবান জেলা পুলিশ সুপার মো. তারিকুল ইসলাম, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালমা ফেরদৌস, থানার ওসি টান্টু সাহা, ঘুমধুম ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ, সাবেক চেয়ারম্যান তসলিম ইকবাল চৌধুরীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সীমান্ত পরিদর্শনকালে জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি সাংবাদিকদের বলেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে গোলাগুলি ও বাংলাদেশ সীমান্তে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে গত শনিবার শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা বিবেচনায় ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয় থেকে উখিয়ার কুতুপালং উচ্চ বিদ্যালয় ও উত্তর ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। সীমান্তের বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। সাধারণ মানুষ যেন নিরাপদে থাকে, এ বিষয়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা হবে। এছাড়া সীমান্ত থেকে ঝুঁকিপূর্ণ পরিবারগুলো সরিয়ে নেয়ার বিষয়ে বাছাই করার জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তবে অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার বিষয়ে পরিবারগুলোর মতামতকে প্রধান্য দেয়া হবে বলে জানান তিনি।

এর আগে গত রবিবার সকালে সীমান্তের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি নিয়ে নাইক্ষ্যংছড়িতে উপজেলা পরিষদে অনুষ্ঠিত জরুরি সভায় স্থানীয়দের সরিয়ে নেয়াসহ বিভিন্ন ধরনের প্রস্তাব জেলা প্রশাসক বরাবরে পাঠানো হয়।

এ বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালমা ফেরদৌস জানান, গত রবিবার জরুরি বৈঠকে সীমান্তের ঝুঁকিপূর্ণ পরিবারগুলোকে সরিয়ে নেয়ার প্রস্তাব আসে জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে তাদের সরিয়ে নেয়া হতে পারে।

জেলা পুলিশ সুপার মো. তারিকুল ইসলাম জানান, সীমান্তে গোয়েন্দা নজরদারী বাড়ানো হয়েছে এবং পুলিশ বিজিবির সঙ্গে সমন্বয় করে সীমান্তে কাজ করছে।

আর এদিকে, সোমবার বান্দরবান জেলা প্রশাসক সীমান্ত পরিদর্শণে পৌঁছার দেড় ঘণ্টা আগে সীমান্তের ওপারে গোলাগুলি বন্ধ হয়। তবে ভোর ৬টা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত থেমে থেমে গোলাগুলির শব্দ শুনতে পায় স্থানীয়রা।

প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার রাতে গোলার আঘাতে জিরোলাইন ক্যাম্পের এক রোহিঙ্গা যুবক মারা যাওয়ার পর সেখানে থাকা রোহিঙ্গা পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দারা এখনো আতঙ্ক উৎকণ্ঠার মধ্যে রয়েছেন বলে স্থানীয় এক প্রতিনিধি জানিয়েছেন।