শিরোনাম
নোয়াখালীর মাইজদী মাদারল্যান্ড হসপিটালের বিরুদ্ধে চিকিৎসা না দেওয়ায় কামাল উদ্দিন (৫০) নামে এক রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মারা যান তিনি। ঘটনার পর হাসপাতালের দায়িত্বরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পালিয়ে যান। নিহতের পরিবারের অভিযোগ, বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তির তিন ঘণ্টায় কোনো চিকিৎসা না দেওয়ায় কামাল উদ্দিন মারা গেছেন। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে স্বজনরা হাসপাতালে ভাঙচুর করেছেন বলে অভিযোগ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।
মৃত কামাল উদ্দিন নোয়াখালী সদর উপজেলার নোয়ান্নই ইউনিয়নের শাহজাদপুর গ্রামের আব্দুল হকের ছেলে। তিনি স্থানীয় ইসলামগঞ্জ বাজারের জারিফ এন্টারপ্রাইজের পরিচালক ছিলেন।
মৃত কামাল উদ্দিনের ছোট ভাই জসিম উদ্দিন জানান, শুক্রবার ভোরে বুকে ব্যথা অনুভব করেন কামাল উদ্দিন। পরে তাকে ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভর্তির পর তার ভাইকে কোনো চিকিৎসা না দিয়ে ফেলে রাখে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। দায়িত্বরত চিকিৎসক ও নার্সরা নিজ নিজ কক্ষে ঘুমাচ্ছিলেন। একাধিকবার ডাকলেও তারা কেউ আসেননি। তিনি জানান, সকাল ৮টার দিকে কামাল মারা গেলে দ্রুত হাসপাতালের লোকজন পালিয়ে যায়। পরে বিষয়টি থানায় জানানোর পর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে।
ভাইয়ের মৃত্যুর ঘটনায় একটি মামলা করবেন বলেও জানান জসিম উদ্দিন।
এ বিষয়ে হাসপাতালের কর্মকর্তা জাবেদ বলেন, ওই রোগী আমাদের ম্যানেজারের আত্মীয়। তারা হাসপাতালে আসার পর এসি কেবিন চেয়েছিলেন। নরমাল কেবিনে ভর্তি করার পর নার্স রোগীর হাতে ক্যানোলা লাগালে সঙ্গে থাকা লোকজন ছিঁড়ে ফেলে দেন। রোগীকে অক্সিজেনও দেওয়া হয়েছে। রোগী মৃত্যুর পর তার স্বজনরা হাসপাতালে ভাঙচুর করে ব্যাপক ক্ষতি করেছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
সুধারাম মডেল থানার এসআই সুজন বিকাস চাকমা জানান, চিকিৎসার অভাবে একজন রোগী মারা গেছে- এমন অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা হাসপাতালে এসেছি। অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী সময় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সূত্রঃ যুগান্তর