শিরোনাম
চালককে মারধরের প্রতিবাদে ফরিদপুর পৌর বাস টার্মিনাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন শ্রমিকরা। ফলে বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন বাসযাত্রীরা।
ফরিদপুর পৌর বাস টার্মিনালের বাস শ্রমিকরা জানান, টেকেরহাট ও বোয়ালমারী থেকে ছেড়ে আসা দুটি অভ্যন্তরীণ বাস মঙ্গলবার বিকেল ৩টার দিকে ফরিদপুর দুটি বাস টার্মিনালে প্রবেশের সময় সড়কে থাকা অটোরিকশার কারণে জট বাধে। এছাড়া বৃষ্টির কারণে উঁচু সড়ক থেকে কর্দমাক্ত নিচু টার্মিনালে প্রবেশেও সমস্যা হচ্ছিল। এ সময় পুলিশের একটি পিকআপ বাস টার্মিনাল অতিক্রমের সময় যানজটে আটকা পড়ে।
শ্রমিকদের অভিযোগ, এ সময় পুলিশের পিকআপ থেকে নেমে সাদা পোশাকধারী পুলিশ সদস্যরা বাসচালক আমির হোসেনকে তার আসনে বসে থাকা অবস্থায় জানালা দিয়ে লাঠি দিয়ে আঘাত করেন। তিনি গাড়ির স্টার্ট বন্ধ করে নিচে নেমে এলে তাকে আবারও লাঠি দিয়ে পেটানো হয়। এরপর তারা টেকেরহাট থেকে আসা বাসের সুপারভাইজার রেজাউল ও চালক ঝন্টু খানকে থাপ্পড় ও ঘুষি মারেন। এ ঘটনার প্রতিবাদে শ্রমিকরা তাৎক্ষণিকভাবে বাস টার্মিনাল থেকে সব লোকাল বাস চলাচল বন্ধ করে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করতে থাকেন। পরে বাস টার্মিনাল থেকে দূরপাল্লার বাস চলাচলও বন্ধ করে দেন তারা।
ফরিদপুর জর্জ আদালতের আইনজীবী ও বোয়ালমারী পৌর সদরের বাসিন্দা মো. সেলিমুজ্জামান রুকু বলেন, ‘বোয়ালমারী যাবো। আদালত থেকে ফেরার পথে স্ট্যান্ডে এসে দেখি বাস চলছে না। এ সন্ধ্যাবেলা কীভাবে যাবো, সেটাই ভাবছি। এখন বিকল্প উপায়ে বোয়ালমারী যাওয়ার চেষ্টা করছি।’
ফরিদপুর আন্তঃজেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক গোলাম আজাদ বলেন, খবর পেয়ে শ্রমিক নেতৃবৃন্দ সেখানে ছুটে যান। এ সময় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা ঘটনার সুষ্ঠু্ বিচার ও দোষীদের শাস্তি দাবিতে ধর্মঘটে নামেন। মঙ্গলবার রাতেও এ ঘটনার কোনো সুরাহা হয়নি। যাত্রীদের এ কারণে নিদারুণ দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে।
এ বিষয়ে ফরিদপুর জেলা পুলিশের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর তুহিন লস্কর বলেন, খবর পেয়ে নেতৃবৃন্দের সঙ্গে কথাবার্তা বলে শ্রমিকদের অসন্তোষ নিরসনের চেষ্টা করি। আমরা সিসিটিভির ফুটেজ দেখে ঘটনা জানার চেষ্টা করেছি। সেটি একটি পুলিশের পিকআপ ছিল তবে রেজিস্ট্রেশনবিহীন। ওই গাড়িটি জেলা পুলিশের নয়। সেটি হাইওয়ে পুলিশ কিংবা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) বা অন্য কোনো পুলিশ বিভাগের কি-না তা শনাক্তের চেষ্টা চলছে।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমন রঞ্জন সরকার বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি। একটি গাড়িটি সিসিটিভিতে দেখা গেছে, গাড়িটি শনাক্তের বিষয়ে আমরা কাজ করছি। এরপর বলা যাবে, ওই গাড়িতে কে বা কারা ছিল। শ্রমিকদের অবরোধের বিষয়টি আমার জানা নেই।চালককে মারধরের প্রতিবাদে ফরিদপুর পৌর বাস টার্মিনাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন শ্রমিকরা। ফলে মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেল থেকে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন বাসযাত্রীরা।
ফরিদপুর পৌর বাস টার্মিনালের বাস শ্রমিকরা জানান, টেকেরহাট ও বোয়ালমারী থেকে ছেড়ে আসা দুটি অভ্যন্তরীণ বাস মঙ্গলবার বিকেল ৩টার দিকে ফরিদপুর দুটি বাস টার্মিনালে প্রবেশের সময় সড়কে থাকা অটোরিকশার কারণে জট বাধে। এছাড়া বৃষ্টির কারণে উঁচু সড়ক থেকে কর্দমাক্ত নিচু টার্মিনালে প্রবেশেও সমস্যা হচ্ছিল। এ সময় পুলিশের একটি পিকআপ বাস টার্মিনাল অতিক্রমের সময় যানজটে আটকা পড়ে।
শ্রমিকদের অভিযোগ, এ সময় পুলিশের পিকআপ থেকে নেমে সাদা পোশাকধারী পুলিশ সদস্যরা বাসচালক আমির হোসেনকে তার আসনে বসে থাকা অবস্থায় জানালা দিয়ে লাঠি দিয়ে আঘাত করেন। তিনি গাড়ির স্টার্ট বন্ধ করে নিচে নেমে এলে তাকে আবারও লাঠি দিয়ে পেটানো হয়। এরপর তারা টেকেরহাট থেকে আসা বাসের সুপারভাইজার রেজাউল ও চালক ঝন্টু খানকে থাপ্পড় ও ঘুষি মারেন। এ ঘটনার প্রতিবাদে শ্রমিকরা তাৎক্ষণিকভাবে বাস টার্মিনাল থেকে সব লোকাল বাস চলাচল বন্ধ করে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করতে থাকেন। পরে বাস টার্মিনাল থেকে দূরপাল্লার বাস চলাচলও বন্ধ করে দেন তারা।
ফরিদপুর জর্জ আদালতের আইনজীবী ও বোয়ালমারী পৌর সদরের বাসিন্দা মো. সেলিমুজ্জামান রুকু বলেন, ‘বোয়ালমারী যাবো। আদালত থেকে ফেরার পথে স্ট্যান্ডে এসে দেখি বাস চলছে না। এ সন্ধ্যাবেলা কীভাবে যাবো, সেটাই ভাবছি। এখন বিকল্প উপায়ে বোয়ালমারী যাওয়ার চেষ্টা করছি।’
ফরিদপুর আন্তঃজেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক গোলাম আজাদ বলেন, ‘খবর পেয়ে শ্রমিক নেতৃবৃন্দ সেখানে ছুটে যান। এ সময় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা ঘটনার সুষ্ঠু্ বিচার ও দোষীদের শাস্তি দাবিতে ধর্মঘটে নামেন। মঙ্গলবার রাতেও এ ঘটনার কোনো সুরাহা হয়নি। যাত্রীদের এ কারণে নিদারুণ দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে।
এ বিষয়ে ফরিদপুর জেলা পুলিশের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর তুহিন লস্কর বলেন, খবর পেয়ে নেতৃবৃন্দের সঙ্গে কথাবার্তা বলে শ্রমিকদের অসন্তোষ নিরসনের চেষ্টা করি। আমরা সিসিটিভির ফুটেজ দেখে ঘটনা জানার চেষ্টা করেছি। সেটি একটি পুলিশের পিকআপ ছিল তবে রেজিস্ট্রেশনবিহীন। ওই গাড়িটি জেলা পুলিশের নয়। সেটি হাইওয়ে পুলিশ কিংবা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) বা অন্য কোনো পুলিশ বিভাগের কি-না তা শনাক্তের চেষ্টা চলছে।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমন রঞ্জন সরকার বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি। একটি গাড়িটি সিসিটিভিতে দেখা গেছে, গাড়িটি শনাক্তের বিষয়ে আমরা কাজ করছি। এরপর বলা যাবে, ওই গাড়িতে কে বা কারা ছিল। শ্রমিকদের অবরোধের বিষয়টি আমার জানা নেই।
সূত্র: জাগো নিউজ