শিরোনাম
রাজধানীর তেজগাঁও এলাকায় একটি ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্যজট অবশেষে খুলেছে। হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে তেজগাঁও থানা পুলিশ।
গ্রেফতার ব্যক্তিরা হচ্ছে-জুয়েল, জাহাঙ্গীর ওরফে মুটো জাহাঙ্গীর ও নুরুজ্জামান ওরফে মামুন। বৃহস্পতিবার রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকা থেকে জুয়েল, বেগুনবাড়ি থেকে জাহাঙ্গীর ও নোয়াখালী জেলা থেকে নুরুজ্জামানকে গ্রেফতার করা হয়।
৫ অক্টোবর রাতে তেজগাঁও থানার মেরিন রেস্তোরাঁর সামনে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র কেশব রায় পাপনকে অজ্ঞাতপরিচয় অস্ত্রধারীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে অঘাত করে গুরুতর জখম করে। কয়েকজন পথচারী তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যায়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় কেশবের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ৬ অক্টোবর তেজগাঁও থানায় হত্যা মামলা দায়ের হয়। মামলাটি তদন্ত শুরু করে তেজগাঁও থানা পুলিশ।
তেজগাঁও থানার ওসি সালাহ উদ্দিন মিয়া জানান, এই মামলা তদন্তকালে ঘটনাস্থল ও আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়। সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা, তথ্য প্রযুক্তি ও গোয়েন্দা সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে ঘটনায় জড়িত অভিযুক্তদের শনাক্ত করা হয়। পরে হাতিরঝিল এলাকা থেকে জুয়েলকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আরও দুজনকে গ্রেফতার করা হয়।
ওসি সালাহ উদ্দিন মিয়া জানান, নিহত কেশব রায় পাপন সোনারগাঁও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। তিনি একটি কুরিয়ার সার্ভিস প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার সংক্রান্ত খণ্ডকালীন চাকরি করতেন। প্রতিদিনের ন্যায় কাজ শেষে ৫ অক্টোবর রাতে সাইকেলযোগে মনিপুরিপাড়ার বাসায় ফিরছিলেন। পথিমধ্যে তারা ছিনতাইয়ের উদ্দেশে কেশবের পথরোধ করে। কেশব ছিনতাইয়ে বাঁধা দিলে তার সঙ্গে ছিনতাইকারীদের ধস্তাধস্তি শুরু হয়। ছিনতাইকারীরা এ সময় ভিকটিমের মোবাইলটি নিয়ে পালিয়ে যেতে চাইলে তিনি ছিনতাইকারী নুরুজ্জামানকে জাপটে ধরেন।
এসময়ে গ্রেফতার নুরুজ্জামান ধারালো সুইচ গিয়ার দিয়ে কেশবকে উপর্যুপরি আঘাত করে। এতে শরীর থেকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে ভিকটিম নিস্তেজ হয়ে রাস্তায় পড়ে থাকে। কয়েকজন পথচারী মিলে ভিকটিমকে চিকিৎসার জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু অবস্থার আরো অবনতি হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভিকটিমের মৃত্যু হয়।
গ্রেফতার ব্যক্তিদের আদালতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
সূত্রঃ যুগান্তর