শিরোনাম
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের চরকাঁকড়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের নুরুজ্জামান পণ্ডিত সড়কের এক কিলোমিটার অংশ পাকা হয়নি। আর এতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে পুরো এলাকার অন্তত ১০ হাজার মানুষকে।
জানা যায়, বসুর পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সীমানা শান্তিপাড়া থেকে আবুল খায়ের পর্যন্ত এক কিলোমিটার সড়ক দীর্ঘ ২৫ বছরেও পাকা হয়নি। এতে করে ওই সড়কে জমে থাকে কাঁদাপানি। আর বর্ষা মৌসুমে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মাদরাসা, মক্তব, মালামাল পরিবহণ, অ্যাম্বুলেন্স চলাচল, ফায়ার সার্ভিস, যানবাহন, রিকশা চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে এলাকাবাসীর চরম দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এই এক কিলোমিটার ছাড়া পুরো গ্রামের রাস্তাই পাকা। কিন্তু পৌরসভার পরে ওই রাস্তাটুকু কাঁচা হওয়ায় বাকি পাকা রাস্তার সুফলও তারা পাচ্ছেন না। এতে করে শিক্ষার্থীদের স্কুলে যাতায়াত বন্ধ থেকে শুরু করে নানা দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এমনকি এই সড়কের জন্য ভালো কোনো জায়গা থেকে এলাকার মেয়েদের বিয়ের সম্বন্ধও আসতে চায় না বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।
স্থানীয় মাওলানা মো. জহির উদ্দিন বলেন, ‘দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ ভাড়া দিয়ে মালামাল পরিবহন করে নিজের বিল্ডিং করেছি। এখন এক বছর আগে একটি মসজিদ ও মাদরাসা করার জন্য মাটি ভরাট করে রাখলেও রাস্তা খারাপ হওয়ার কারণে নির্মাণ কাজ শুরু করতে পারছি না।’
এলাকার বাসিন্দা সাংবাদিক মাসুদ আলম জানান, এলাকার শত শত কিলোমিটার রাস্তা পাকা হয়ে গেছে। কেন বা কি কারণে এই এক কিলোমিটার রাস্তা পাকা হচ্ছে না তা কেউ জানে না। সড়কটি পাকাকরণে স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সুদৃষ্টি কামনা করেন তিনি।
চরকাঁকড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান হাজী মো. সফি উল্যাহ জানান, নুরুজ্জামান পণ্ডিত সড়কের ওই এক কিলোমিটার পাকা হওয়া পুরো ইউনিয়নের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ রাস্তার মুখে পাকা না হলে ভেতরে পাকা হলেও জনগণ সুফল পাবে না। তিনি সড়কটি পাকা করার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে বার বার তালিকা দিয়েছেন বলেও জানান।
উপজেলা প্রকৌশলী মো. মাহফুজুল হোসাইন জানান, কাঁচা সড়ক পাকাকরণের নতুন তালিকা তৈরির কাজ চলছে। খোঁজ নিয়ে ওই সড়কটি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে পাকাকরণে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সূত্র: জাগো নিউজ