শিরোনাম
লালমনিরহাটে উজানের ঢল ও টানা বৃষ্টিতে তিস্তা নদীর পানি বেড়ে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে বন্যা দেখা দিয়েছে।
শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) সকালে ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) থেকেই তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপরে দিয়ে প্রবাহিত হলেও শুক্রবার সকালে তা আরও বাড়ে। এ কারণে ভাটি এলাকায় ধীরে ধীরে পানি বৃদ্ধি পেয়ে নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়েছে। এ বছরে পঞ্চম দফা বন্যায় জেলার হাতিবান্ধা, কালীগঞ্জ, আদিতমারী ও সদর উপজেলার তিস্তা নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে ৩০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধিতে জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী, দোয়ানী, ছয়আনী, সানিয়াজান ইউনিয়নের নিজ শেখ সুন্দর, বাঘের চর, ফকিরপাড়া ইউপির রমনীগঞ্জ, সিঙ্গামারি ইউনিয়নের ধুবনী, সিন্দুর্না ইউপির পাটিকাপাড়া, হলদিবাড়ী, ডাউয়াবাড়ী, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, শৈইলমারী, নোহালী, চর বৈরাতি, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, পলাশী ও সদর উপজেলার কালমাটি, ফলিমারীর চর, খুনিয়াগাছ, কুলাঘাট, মোগলহাট, বড়বাড়ি, রাজপুর, গোকুণ্ড ইউনিয়নের তিস্তা এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
তিস্তা নদীর বন্যা সংক্রান্ত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে পানি আগামী ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত হ্রাস পেতে পারে। তবে পরবর্তী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টায় তিস্তার উজানের অংশে (সিকিম, গ্যাংটক) পুনরায় মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এ কারণে আবারও সমতলের পানি বৃদ্ধি পেয়ে ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে।
আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার জি.আর সারোয়ার বলেন, তিস্তা নদীর পানি বেড়ে যাওয়া নিম্নাঞ্চলের বাড়ি-ঘরে পানি ঢুকে পড়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে পানিবন্দি এসব মানুষের খোঁজ খবর রাখা হচ্ছে। লালমনিরহাট জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপরে প্রবাহিত হয়ে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আমরা জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছি।