শিরোনাম
নারায়ণগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে নিহত শাওনের মরদেহ পুলিশি পাহারায় দাফন করা হয়েছে। শুক্রবার প্রথম প্রহরে ফতুল্লার নবীনগর শাহওয়ার আলী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জানাজার নামাজ শেষে নবীনগর কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
এর আগে দিনগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে (ভিক্টোরিয়া) নিহতের বড় ভাই মিলন প্রধান এবং মামা মোতাহার হোসেনের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। একই সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে শাওনের মরদেহ বাড়িতে আনা হয়। এ সময় স্বজনদের মধ্যে আহাজারি শুরু হয়। পরে প্রতিবেশীরা তাদের বুঝিয়ে শান্ত করেন।
এদিকে রাতে শাওনকে যুবদল নয় যুবলীগ কর্মী দাবি করে তার বাড়ির সামনে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। একই সঙ্গে তারা সেখানে অবস্থান নেন। বিপরীতে বিএনপির নেতাকর্মীরা আসতে চাইলে তাদের বাধা দেওয়া হয়। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।
এ বিষয়ে ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক জাহাঙ্গীর মাস্টার বলেন, ‘শাওন আমাদের এলাকার ছেলে এবং ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শওকত আলীর ভাতিজা। তারা চার ভাইয়ের মধ্যে বড়জন অনেক আগেই মারা গেছে। আর তিন ভাই তাদের চাচা শওকত আলীর সঙ্গেই থাকেন এবং শাওন যুবলীগের রাজনীতি করেন। আমরা এ হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।’
তবে নিহত শাওনের মা ফরিদা বেগম বলেন, ‘আমার স্বামী সাহেব আলী মারা যাওয়ার পর বড় ছেলেটাও অসুস্থ হয়ে মারা যায়। এরপর তিন ছেলে কাজ করে সংসার চালায়। শাওন কোনো রাজনীতি করতো না। বাড়ির কাছে শহিদুল্লাহর ওয়ার্কশপে কাজ করতো। সকালে কাজে যাওয়ার কথা বলে বাসা থেকে বের হয় সে।’
বৃহস্পতিবার সকালে নারায়ণগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ ঘটে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে শাওন মারা যান। এছাড়া পুলিশের ১৫ জন এবং বিএনপির প্রায় অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হন। বিএনপির আহত নেতাকর্মীদের মধ্যেই অনেকেই গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।