শিরোনাম
ফরিদপুর মহানগর বিএনপির পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। তবে কমিটিতে সক্রিয়দের পরিবর্তে অনেক নিষ্ক্রিয় এমনকি মৃত ব্যক্তির নামও রয়েছে৷ এ নিয়ে অনেকে ক্ষোভও প্রকাশ করেছেন।
সম্প্রতি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের অনুমোদনক্রমে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত এ কমিটি প্রকাশ করা হয়। ৩১ সদস্যবিশিষ্ট এ কমিটিতে ১১ জন যুগ্ম আহ্বায়ক ও ১৪ জন সাধারণ সদস্য রয়েছেন। এদের মধ্যে এক নম্বর সদস্য মোস্তাক মাহমুদ পরাগ চার মাস আগে মারা গেছেন।
এর আগে ১৫ এপ্রিল জেলা বিএনপির ১৯ সদস্যবিশিষ্ট এবং মহানগর বিএনপির ১৭ সদস্য বিশিষ্ট আংশিক কমিটি গঠন করা হয়।
এদিকে নতুন এ কমিটি প্রকাশের পর থেকে অভিনন্দন জানানোর পাশাপাশি অনেকে তীব্র আপত্তি ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
এ ব্যাপারে ফরিদপুর মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক তৈয়ব আক্তার টুটুল বলেন, যারা পরীক্ষিত, রাজপথে আন্দোলন সংগ্রামে ছিলো, এখনো আছে এবং ভবিষ্যতে থাকবে তাদের নাম জেলা এবং মহানগর কমিটিতে না থাকায় হতবাক হয়েছি। কমিটিতে যাদের নাম এসেছে তাদের মধ্যে অনেকেই অঙ্গসংগঠনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদে আছে। আবার কেউ কেউ দলের কোনো কার্যক্রমের সঙ্গে দীর্ঘদিন সম্পৃক্ত নেই এমনকি মৃত ব্যক্তির নামও আছে।
এ ব্যাপারে ফরিদপুর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এএফএম কাইয়ুম জঙ্গি বলেন, আমি নিজেই বিস্মিত এটি দেখে। ইতিপূর্বে এক নম্বর সদস্য পরাগের মৃত্যুর বিষয়টি বিভাগীয় সাংগঠনিক টিমের সভায় জানানো হয়েছিলো। তার জন্য শোক প্রস্তাবও উত্থাপন করা হয় সভায়। তারপরেও তার নাম এসেছে।
তিনি বলেন, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব ও আমার যৌথ স্বাক্ষরে যাদের নাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদকের কাছে জমা দিয়েছিলাম তাদের মধ্যে একটি নামও নেই।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি মোবাইল ফোন রিসিভ করেননি।