শিরোনাম
কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতে ভেসে এসেছে একটি জীবিত ডলফিন। মঙ্গলবার দুপুরে ইনানীর পাটুয়ারটেক থেকে কিছু দূর সমুদ্র সৈকতে ভেসে আসে ডলফিনটি। ডলফিনের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
ইনানী সৈকতে দায়িত্বরত বিচ কর্মী বেলাল জানান, সৈকতে জোয়ারের পানিতে কালো রঙের ডলফিনটি জীবিত ভেসে কূলে আটকে পড়ার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যান তিনি।
‘ঘটনাস্থলে পৌঁছে আটকে পড়া ডলফিনটিকে উদ্ধার করে হাঁটু পরিমাণ পানিতে নিয়ে যাই। যাতে মরে না যায় এমন জায়গায় অবস্থান নিয়ে আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে খবর দিই এবং উৎসুক জনতা থেকে রক্ষা করে হেফাজতে নিই।
কক্সবাজার পর্যটন সেলের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম বিল্লাহ জানান, দুপুরের দিকে ইনানী পাটুয়ারটেকের একটু পর সমুদ্র সৈকতে একটি ডলফিন দেখতে পান স্থানীয় জেলেরা।
খবর পাওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে সেখানে দায়িত্বরত বিচ কর্মীদের পাঠানো হয়। পরে বিচ কর্মীরা ডলফিনটি জীবিত দেখতে পেয়ে সাগরে ছেড়ে দেয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু, ডলফিনটি আবার তীরে ফিরে আসে। তবে ডলফিনের পেট ও শরীরের কয়েকটি জায়গায় আঘাতের চিহ্ন আছে। যার কারণে ডলফিনটি দুর্বল হয়ে গেছে। এই জলজ প্রাণীটিকে বিচ কর্মীদের হেফাজতে রাখা হয়েছে। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে খবর দেয়া হয়েছে।
কক্সবাজার বন বিভাগের দক্ষিণ বিভাগীয় কর্মকর্তা মো. সারওয়ার আলম জানান, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে ছোয়াংখালী বিট কর্মকর্তাকে পাঠানো হয়েছে। বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের একটি ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন। শরীরে আঘাতের চিহ্ন থাকায় প্রয়োজনীয় চিকিৎসা করে সুস্থ হলে ডলফিনটি সাগরে ছেড়ে দেয়া হবে।
বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আবু সাঈদ মুহাম্মদ শরীফ বলেন, ‘আমি ঘটনাস্থলে যাচ্ছি। ছবি দেখে যতটুকু জেনেছি, ডলফিনটি 'বোতল নোজ' প্রজাতির। সাগরের সব জায়গায় এদের বিচরণ। শান্ত স্বভাবের এই ডলফিনগুলো পরিবারকেন্দ্রিক দলবদ্ধভাবে থাকে। একে অপরের সাথে মারামারি করারও কোনো নজির নেই। তাই, কি কারণে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে তা এই মুহূর্তে বলা কঠিন।