শিরোনাম
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে স্কুলশিক্ষক খান মোহাম্মদ আলাউদ্দিনকে হত্যা মামলায় ৩ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও একজনকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসমিদের প্রত্যেককে ৪০ হাজার টাকা করে এবং আমৃত্যু দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
বুধবার (১৭ আগস্ট) দুপুরে ঝিনাইদহ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. নাজিমুদ্দৌলা এ দণ্ডাদেশ প্রদান করেন।
দণ্ডিতরা হলেন, শৈলকুপা উপজেলার শিতলী গ্রামের মৃত গোলাম কুদ্দুস খাঁন’র ছেলে রান্নু খাঁন, শামছুর রহমান খাঁন ও তার ছেলে জামাল খাঁন, কানু খাঁন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৪ সালের ৭ সেপ্টেম্বর শৈলকুপা উপজেলার শিতলী গ্রামে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে আলাউদ্দিনকে নিজ বাড়িতে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর জখম করে আসামিরা। পরে সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে শৈলকুপায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল থেকে রেফার্ড করা হলে ঢাকায় নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় পরদিন তার স্ত্রী শিউলী খাতুন বাদী হয়ে ৭ জনের বিরুদ্ধে শৈলকুপা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলা তদন্ত শেষে ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট প্রদান করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। দীর্ঘ শুনানি ও বিচারিক কার্যক্রম শেষে আদালত ওই গ্রামের প্রতিবেশী রান্নু খাঁন, জামাল খাঁন ও কানু খাঁনকে মৃত্যুদণ্ড ও শামছুর রহমান খাঁনকে আমৃত্যু কারাদণ্ডের আদেশ দেন।
নিহত আলাউদ্দিনের ছেলে রাশিদুল ইসলাম বলেন, আমার সামন আমার বাবাকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করেছে। রায়ে ৩ জন খালাস পাওয়ায় আমি আদালতের প্রতি সম্মান রেখে দুঃখ প্রকাশ করছি। ওই ৩ জনও শাস্তির আওতায় আনার দরকার ছিল বলে আমি মনে করি।
বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট তারিকুল আলম জানান, এ রায়ে আমরা খুশি, তবে খালাসপ্রাপ্ত ৩ আসামিকেও সাজা দিলে আমরা আরও খুশি হতাম। আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সামসুজ্জামান তুহিন জানান, আমরা এ রায়ে খুশি না, আমরা উচ্চ আদালতে যাব।
মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ইসমাইল হোসেন বাদশা বলেন, আদালত যে রায় দিয়েছেন তাতে আমরা সন্তুষ্টি প্রকাশ করছি। দ্রুত এই রায় কার্যকর যেন হয় সেই আশা করছি।