শিরোনাম
রাজধানীর উত্তরায় বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের গার্ডারের চাপায় প্রাইভেটকারের নিহত পাঁচ আরোহীর ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।
মঙ্গলবার বেলা পৌনে একটার দিকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের মর্গে ময়নাতদন্ত হয়।
ফরেনসিক বিভাগের চিকিৎসক নাসেদ জামিল জানান, ‘নিহত ব্যক্তিদের বিষয়ে সুরতহাল প্রতিবেদনে যা লেখা আছে, আমরা ময়নাতদন্তে তা–ই পেয়েছি, ব্যতিক্রম কিছু নয়। নিহত প্রত্যেকের একাধিক পর্যবেক্ষণ (মাল্টিপল ফাইন্ডিংস) রয়েছে। প্রতিটির আলাদা করে বর্ণনা (ডেস্ক্রাইব) দেওয়া সম্ভব নয়। সুরতহাল প্রতিবেদনে যেভাবে বর্ণনা করা আছে, হুবহু আমরা তা–ই পেয়েছি।’
চিকিৎসক আরও বলেন, ‘আমাদের কাজ শেষ। এখন পুলিশ অন্যান্য প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে।’
সোমবার ঢাকার দক্ষিণখানের কাওলা এলাকায় বউভাতের অনুষ্ঠান শেষে নবদম্পতি ও তাদের স্বজনেরা প্রাইভেটকারে করে আশুলিয়ায় যাচ্ছিলেন। বিকেল সোয়া ৪টার দিকে উত্তরার ৩ নম্বর সেক্টরের প্যারাডাইস টাওয়ারের সামনের সড়কে চলন্ত অবস্থায় প্রাইভেট কারটির ওপর বিআরটি প্রকল্পের গার্ডার পড়ে।
ঘটনার পরপর নবদম্পতি হৃদয় (২৬) ও রিয়া মনিকে (২১) প্রাইভেট কার থেকে বের করে আনা হয়। তারা উত্তরার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। দুজনই শঙ্কামুক্ত। তবে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পরে প্রাইভেটকারের ওপর থেকে গার্ডারটি সরিয়ে গাড়িটির মধ্য থেকে পাঁচজনের লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহতরা হলেন- বর হৃদয়ের বাবা মো. রুবেল মিয়া (৬০), নববধূ রিয়ার মা মোছা. ফাহিমা (৩৭), ফাহিমার বোন ঝরনা (২৬) এবং তাঁর দুই সন্তান জান্নাতুল (৬) ও মো. জাকারিয়া (৪)। রুবেল মিয়া গাড়িটি চালাচ্ছিলেন।