শিরোনাম
নাটোরে ভাইরাল হওয়া কলেজশিক্ষিকা খায়রুন নাহার গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন বলে দাবি করেছেন তার স্বামী মামুন। পরে রোববার সকালে নাটোর শহরের বালারিপাড়া এলাকার হাজী নান্নু মোল্লা ম্যানশনের চারতলার একটি ফ্ল্যাট থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় খায়রুন নাহারের স্বামীকে আটক করা হয়।
নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা এ বিষয়ে গণমাধ্যমে বলেন, মামুনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গেছে, তাদের দাম্পত্য জীবন সুখের ছিল না। খায়রুন নাহার তার ছেলেকে মোটরসাইকেল কিনে দেওয়ার জন্য দুই লাখ টাকা মামুনের সম্মতি চান। মামুন ওই টাকা না দেওয়ায় তাদের মধ্যে ঝগড়ার একপর্যায়ে মামুন রাগ করে রাত ২টার দিকে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। পরে ভোর ৬টার দিকে বাড়ি ফিরে দেখেন খায়রুন নাহার সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। খায়রুন নাহারের কাছ থেকে টাকা নিয়ে মামুন নামেমাত্র ব্যবসা করতেন।
সিসিটিভির ফুটেজও পাওয়া গেছে। আটক মামুনকে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছেও বলেও জানান তিনি।
এদিকে শিক্ষিকা খায়রুন নাহারের (৪৫) মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় আটক স্বামী মামুন হোসেনকে (২২) আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
সোমবার দুপুরে মামুনকে আদালতে নেওয়া হয়। বিকাল তাকে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোসলেম উদ্দিনের আদালতে হাজির করা হয়। বিচারক শুনানি শেষে তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
খায়রুন নাহার গুরুদাসপুরের খুবজিপুর এম হক ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক ছিলেন। মামুন নাটোর এন এস সরকারি কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। তিনি একই উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের পাটপাড়া গ্রামের কলেজছাত্র মোহাম্মাদ আলীর ছেলে। মাত্র ৮ মাস আগে কলেজছাত্র মামুনকে বিয়ে করেছিলেন খায়রুন নাহার।