শিরোনাম
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় হত্যাচেষ্টা মামলার ভিকটিমের মেডিকেল সনদ নিয়ে দুর্নীতি, অনিয়ম ও জালিয়াতির অভিযোগে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দুই চিকিৎসক ডা. জেএইচ খান লেলিন ও ডা. অনুপ কুমার সরকারসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার কলাপাড়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শোভন শাহরিয়ারের আদালত কলাপাড়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে ৪০ দিনের মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
এর আগে উপজেলার ধূলাসার ইউনিয়নের মুসলিমপাড়া গ্রামের মো. হানিফ নেগাবান মঙ্গলবার আদালতে দুই চিকিৎসকসহ ৬ জনের নামে নালিশি মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি আদেশের জন্য বুধবার দিন ধার্য করেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে বিগত ৩০ এপ্রিল ২০২০ বাদীর পুত্র রাজিব নেগাবানকে ধারালো অস্ত্র দ্বারা কুপিয়ে হত্যাচেষ্টা করে প্রতিপক্ষরা। ঘটনার পর ভিকটিমকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. জেএইচ খান লেলিন চিকিৎসা সেবা প্রদান করেন। এ ঘটনায় সৃষ্ট ফৌজদারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে ডা. জেএইচ খান লেলিন ও ডা. অনুপ কুমার সরকারের সমন্বয়ে গঠিত ৩ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড ২০২০ সালের ৮ আগস্ট ভিকটিমের মেডিকেল সনদ সরবরাহ করেন; যাতে ধারালো অস্ত্রের গুরুতর জখমের কথা উল্লেখ করা হয়।
পরবর্তীতে মামলার আসামিপক্ষকে একই তারিখ ও স্মারক নম্বরে অপর একটি মেডিকেল সনদ সরবরাহ করা হয়; যাতে জখমের ধরন সাধারণ উল্লেখ করা হয়। এতে আসামিরা কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি লাভ করে এবং সনদটি আদালতের বিচার কাজে বিঘ্ন ঘটায়।
এছাড়া ডা. জেএইচ খান লেলিন ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখ ১৩৮২ নম্বর স্মারক মূলে জখমি মতি হাওলাদারের মেডিকেল সনদ সরবরাহ করেন। যাতে জখমের ধরন গুরুতর উল্লেখ করা হয়। পরবর্তীতে ১২ আগস্ট ২০২০ তারিখ ৯০৫ নম্বর স্মারক মূলে একই জখমির তিনি অপর একটি মেডিকেল সনদ সরবরাহ করেন। যাতে জখমের ধরন সাধারণ বলে উল্লেখ করা হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কলাপাড়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আহম্মদ আলী বলেন, আদালতের আদেশের কপি পেলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা হবে। সূত্র: যুগান্তর