শিরোনাম
রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী পদ্মা এক্সপ্রেসের টিকিট কেটেও ট্রেনে উঠতে না পারায় ক্ষুব্ধ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) স্নাতক প্রথমবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী ও অভিভাবক।
বুধবার বিকাল ৪টায় এ ঘটনা ঘটে। যাত্রীরা প্রায় দুই ঘণ্টা রাজশাহী রেলস্টেশনে অবস্থান করেন। এ ঘটনায় রেলস্টেশন এলাকাজুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
যাত্রীদের অভিযোগ, তিনশ টাকার টিকিট কিনেছেন ছয়শ থেকে নয়শ টাকা পর্যন্ত। নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বাড়তি টাকায় টিকিট কিনেও ট্রেনে উঠতে পারেননি তারা। উল্টো জোর করেই ট্রেন থেকে নামিয়ে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এরপর ট্রেন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চাইলে তারা কোনো সাড়া দেয়নি।
সরেজমিন দেখা গেছে, রাবিতে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া অনেক শিক্ষার্থী প্ল্যাটফর্মে অবস্থান নিয়েছেন। কেন তাদের ট্রেন থেকে নামিয়ে দেওয়া হলো সেটা জানতে চাচ্ছেন। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়ে শান্ত হওয়ার আহবান জানান বোয়ালিয়া মডেল থানার ওসি নিবারণ চন্দ্র বর্মণ।
ঢাকার মুগদার বাসিন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার্থী মুরাদ হোসেন জানান, তিনি পদ্মা এক্সপ্রেসের টিকিট কেটেছেন। সিঙ্গেল টিকিটের মূল্যে নেওয়া হয়েছে ৯০০ টাকা। এরপর তিনি নির্ধারিত সময়ে ট্রেনে উঠেন। কিন্তু এর মধ্যেই টিটি তাকেসহ অনেক যাত্রীকে ট্রেন থেকে নামিয়ে দেন। কেন তাদের ট্রেন থেকে নামিয়ে দেওয়া হলো- এ বিষয়ে বারবার জানতে চেয়েও কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি। তিনি এ ঘটনায় সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের শাস্তির দাবি জানিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের গন্তব্যস্থলে পৌঁছে দেওয়ার দাবি জানান।
এ বিষয়ে রাজশাহী রেলস্টেশন মাস্টার আব্দুল মালেক জানান, পদ্মা এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট এক সপ্তাহ আগেই অনলাইন ও টিকিট কাউন্টারে বিক্রি হয়ে গেছে। কিছু স্ট্যান্ডিং টিকিট বিক্রি করেছেন ভ্রাম্যমাণ টিটি। এ কারণে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছে।
এ বিষয়ে স্টেশন ম্যানেজার আব্দুল করিম জানান, তারা এক সপ্তাহ আগেই টিকিট বিক্রি করেছেন। নতুন করে টিকিট দেওয়ার কোনো প্রশ্নই আসে না। স্ট্যান্ডিং টিকিটও বন্ধ করা হয়েছে। এখানে রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন কর্তৃপক্ষের কোনো দোষ নেই।
তিনি আরও বলেন, ভ্রাম্যমাণ টিটিরা ট্রেনের টিকিট ছাড়া কেউ যেন ভ্রমণ করতে না পারেন সেই বিষয়ে কাজ করেন। তারা বগিগুলোতে ঘুরে ঘুরে টিকিট চেক করেন। কেউ টিকিট ছাড়া ভ্রমণ করলে জরিমানাসহ স্ট্যান্ডিং টিকিট দেন। কিন্তু এটারও একটা লিমিট আছে। কিন্তু আজকে ভ্রাম্যমাণ টিটিরা ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি টিকিট বিক্রি করেছেন। এখন তারা কার অনুমতি নিয়ে এ টিকিট বিক্রি করলেন তা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বলতে পারবে। তবে আপতত এক থেকে দেড়শ মানুষকে গন্তব্যে পৌঁছে দিতে কমিউটার ট্রেন দেওয়া হয়েছে। সেটি ঈশ্বরদী পর্যন্ত যাবে। ঈশ্বরদী থেকে বিকল্প ট্রেনে তাদের গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়া হবে। সূত্র: যুগান্তর