শিরোনাম
কক্সবাজারের স্থানীয় এক সাংবাদিককে সংবাদ প্রকাশের জেরে গালাগালি করার ঘটনায় টেকনাফের ইউএনও মোহাম্মদ কায়সার খসরুকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
সচিবালয়ে সোমবার সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
তিনি জানান, ইউএনওর বিষয়ে আদালতের সিদ্ধান্তের পর প্রশাসন পরবর্তী ব্যবস্থা নেবে।
আগের দিন সাংবাদিকের সঙ্গে অশোভন আচরণ করার জেরে রবিবার হাইকোর্টের তোপে পড়েন ইউএনও কায়সার খসরু।
এরপরই রাতে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন থেকে ইউএনও কায়সার খসরুকে শোকজ নোটিশ পাঠানো হয়।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ বলেন, শোকজ নোটিশে একজন সাংবাদিকের সঙ্গে কেন অশালীন ও কুরুচিপূর্ণ আচরণ করা হয়েছে তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
গত ২১ জুলাই ‘নিচু জায়গায় নির্মাণ করা উপহারের ঘর পানিতে ভাসছে’ শিরোনামে একটি জাতীয় অনলাইন নিউজ পোর্টালে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়।
প্রতিবেদনে উল্লেখ ছিল ‘কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা হোয়াব্রাং এলাকার সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্পের সবগুলো নতুন ঘর পানিতে ভাসছে। ফলে সেখানে থাকা ২৭টি পরিবার চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।’ মুজিব বর্ষ উপলক্ষে উপহারের ঘরগুলো এমন নিচু জায়গায় করা নিয়ে স্থানীয় লোকজন শুরু থেকেই আপত্তি তুলেছিলেন।
তাদের অভিযোগ ছিল, ঘর তৈরিতে মাটির নিচে ইট ব্যবহার করা হয়নি।
এ ছাড়া নিম্নমানের ইট, বালি-রড, কাঠ ও অন্যান্য সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে। এ জন্য তারা দায়ী করেন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানকে। বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) রাত পৌনে ১০টার দিকে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তার অফিশিয়াল নম্বর থেকে ফোন করেন ওই নিউজ পোর্টালের কক্সবাজার প্রতিনিধি সাইদুল ফরহাদকে গালমন্দ করেন।
এ সময় প্রকাশিত সংবাদে বাস্তব পরিস্থিতি তুলে ধরায় ওই প্রতিনিধির ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে অকথ্য গালিগালাজ করেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ কায়সার খসরু। পরে শুক্রবার (২২ জুলাই) দুপুরে হিলডাউন সার্কিট হাউসে জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদের উদ্যোগে কক্সবাজার প্রেসক্লাব ও সাংবাদিক ইউনিয়নের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কায়সার খসরু ঢাকা পোস্টের কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধির কাছে অকথ্য ভাষা ব্যবহারের জন্য দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা চান। বৈঠকে জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমরাও খুবই লজ্জিত।
একজন প্রথম শ্রেণির সরকারি কর্মকর্তার মুখ থেকে এমন কটুবাক্য আশা করা যায় না। এ সময় তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থার আশ্বাসও দেন তিনি। পরে হাইকোর্টের নজরে আসলে টেকনাফ ইউএনও'র বিষয়ে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা জানতে চাওয়া হয়।