করোনায় ভূঞাপুরে ৬১৭ ছাত্রীর বাল্যবিয়ে

ফানাম নিউজ
  ০৬ অক্টোবর ২০২১, ১০:৪৮

করোনা মহামারির কারণে প্রায় দেড় বছর বন্ধ ছিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এসময় ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুল-কলেজে যেতে পারেনি। এ অবস্থায় টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে ৬১৭ ছাত্রীর বাল্যবিয়ে হয়েছে। বিয়ের পর কয়েকজন ছাত্রী মা হতেও চলেছে। এর মধ্যে আবার চার ছাত্রও রয়েছে।

এর মধ্যে মাধ্যমিক পর্যায়ে ৪২৪ জন ও মাদরাসার ছাত্রী রয়েছে ১৯৩ জন। উপজেলার মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বাল্যবিয়ের হয়েছে গোবিন্দাসী উচ্চ বিদ্যালয়ে ৩৯ জন। এর মধ্যে ৩৫ জন ছাত্রী আর চারজন ছাত্র রয়েছে। এছাড়াও মাদরাসা পর্যায়ে সিরাজকান্দি দাখিল মাদরাসার ২৪ ছাত্রী বাল্য বিয়ের শিকার হয়েছে।

৬টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা নিয়ে ভূঞাপুর উপজেলা। এ উপজেলায় রয়েছে ৩০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ১৯টি দাখিল মাদরাসা। বর্তমানে এ উপজেলায় মাধ্যমিক পর্যায়ে ছাত্রী রয়েছে সাত হাজার ৭৪৪ জন। আর মাদরাসার ছাত্রী সংখ্যা তিন হাজার ৭২৬ জন।

মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীর বাল্যবিয়ে

অভিভাবক ও সংশ্লিষ্টরা জানান, গোবিন্দাসী উচ্চ বিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৫৮২ জন। এর মধ্যে ছাত্র ৯০৩ জন আর ছাত্রী ৬৭৯ জন। এ বিদ্যালয়ের ৩৯ শিক্ষার্থী বাল্যবিয়ে শিকার হয়েছে।

রুহুলী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২৯৯ জন। এর মধ্যে ছাত্র ১৪৫ জন আর ছাত্রী ১৫৪ জন। এ বিদ্যালয়ের ৩৫ জন ছাত্রীর বাল্যবিয়ে হয়েছে।

বাগবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩৪০ জন। এর মধ্যে ছাত্র ১৭১ জন আর ছাত্রী ১৬৯ জন। এ বিদ্যালয়ের ১২ শিক্ষার্থী বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে। ভূঞাপুর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১১০৯ জন। এর মধ্যে ছাত্র ৭৫৩ জন আর ছাত্রী ৩৫৬ জন। এ বিদ্যালয়ের ১০ জন ছাত্রী বাল্য বিয়ের শিকার হয়েছে।

এছাড়া ভূঞাপুর পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থী সংখ্যা ১১৮৪ জন। এ বিদ্যালয়ের ১০ ছাত্রী বাল্য বিয়ের শিকার হয়েছে। অর্জুনা মহসীন উচ্চ বিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৫২০ জন। এর মধ্যে ছাত্র ২৬১ জন আর ছাত্রী ২৫৯ জন। এ বিদ্যালয়ের ১৫ ছাত্রী বাল্য বিয়ের শিকার হয়েছে।

নিকলা উচ্চ বিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থী সংখ্যা ৩৩৭ জন। এর মধ্যে ছাত্র ১৩১ জন আর ছাত্রী ২০৬ জন। এ বিদ্যালয়ের ১৫ ছাত্রীর বাল্যবিয়ে হয়েছে। নিকরাইল বেগম মমতাজ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে মোট ছাত্রী ৮০৬ জন। এ বিদ্যালয়ের ১৫ ছাত্রীর বাল্য বিয়ে হয়েছে।

অপরদিকে মমতাজ ফকির উচ্চ বিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৭৯২ জন। এর মধ্যে ছাত্র ৪৬২ জন আর ছাত্রী ৩৩০ জন। এ বিদ্যালয়ের ২০ ছাত্রী বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে। ভারই দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৫৬৬ জন। এর মধ্যে ছাত্র ৩৬৮ জন আর ছাত্রী ১৯৮ জন। এ বিদ্যালয়ের ১০ ছাত্রী বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে।

কোনাবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২৫৫ জন। এর মধ্যে ছাত্র ১১৫ জন আর ছাত্রী ১৪০ জন। এ বিদ্যালয়ের ১২ ছাত্রী বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে। মাটিকাটা উচ্চ বিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৭২৯ জন। এর মধ্যে ছাত্র ৪০২ জন আর ছাত্রী ৩২৭ জন। এ বিদ্যালয়ের ১৫ ছাত্রী বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে।

চরনিকলা উচ্চ বিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থী ৩৬০ জন। এর মধ্যে ছাত্র ১৭১ জন আর ছাত্রী ১৮৯ জন। এ বিদ্যালয়ের ২২ ছাত্রী বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে। অলোয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থী ২১৮ জন। এর মধ্যে ছাত্র ৮৮ আর ছাত্রী ১৩০ জন। এ বিদ্যালয়ের ১৫ ছাত্রী বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে।

শুশুয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২৮৭ জন। এর মধ্যে ছাত্র ১৪৫ জন আর ছাত্র ১৪২ জন। এ বিদ্যালয়ের ১০ ছাত্রী বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে। বলরামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২৬৭ জন। এর মধ্যে ছাত্র ১১৯ জন আর ছাত্রী ১৪৮ জন। এ বিদ্যালয়ের ১৫ ছাত্রী বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে। ফকির মাঈন উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২৫৩ জন। এর মধ্যে ছাত্র ৯০ জন আর ছাত্রী ১৬৩ জন। এ বিদ্যালয়ের ১০ ছাত্রী বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে।

মোবারক মাহমুদ মাধ্যমিক উচ্চ বিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৪৮৪ জন। এর মধ্যে ছাত্র ২৫৮ জন আর ছাত্রী ২২৬ জন। এ বিদ্যালয়ের ১০ ছাত্রী বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে। গাবসারা উচ্চ বিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৪৯৭ জন। এর মধ্যে ছাত্র ২৫২ জন আর ছাত্রী ২৪৫ জন। এ বিদ্যালয়ের ১০ ছাত্রী বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে।

টেপিবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৬২০ জন। এর মধ্যে ছাত্র ৩৭৫ জন আর ছাত্রী ২৪৫ জন। এ বিদ্যালয়ের ১৫ ছাত্রী বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে। জুংগীপুর রুলীপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থী সংখ্যা ৩৮৪ জন। এর মধ্যে ছাত্র ২২৪ জন আর ছাত্রী ১৬০ জন। এ বিদ্যালয়ে ২০ ছাত্রী বাল্য বিয়ের শিকার হয়েছে।

তালুকদার সিরাজ আলী উচ্চ বিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩০৫ জন। এ বিদ্যালয়ের ১৬ ছাত্রী বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে। ফলদা শরীফুন্নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের মোট ছাত্রীর সংখ্যা ৪৩৮ জন। এ বিদ্যালয়ের ১০ ছাত্রী বাল্য বিয়ের শিকার হয়েছে। গোবিন্দপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থী সংখ্যা ২৬২ জন। এ বিদ্যালয়ের ১২ ছাত্রী বাল্য বিয়ের শিকার হয়েছে।

খন্দকার কুলসুম জামান উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২৭৫ জন। এর মধ্যে ১৮ ছাত্রী বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে। ভদ্রশিমুল উচ্চ বিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থী সংখ্যা ২৭৬ জন। এর মধ্যে ১৫ ছাত্রী বাল্য বিয়ের শিকার হয়েছে।

বঙ্গবন্ধু ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুলে মোট শিক্ষার্থী ৩৩৮ জন। এর মধ্যে ছাত্র ১৯৭ জন আর ছাত্রী ১৪১ জন। এ বিদ্যালয়ের ৫ ছাত্রী বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে। ঘাটান্দী খন্দকার হায়দার আলী মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থী সংখ্যা ৩৪৩ জন। এর মধ্যে ১৩ ছাত্রীর বাল্যবিয়ে হয়েছে।

মাদরাসার শিক্ষার্থীর বাল্যবিয়ে

এছাড়াও ১৯টি দাখিল মাদরাসার মধ্যে সিরাজকান্দি দাখিল মাদরাসার মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩০২ জন। এর মধ্যে ২৪ ছাত্রী বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে। চর গাবসারা দাখিল মাদরাসার শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩১২ জন। এর মধ্যে ১৯ ছাত্রী বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে।

জিগাতলা দাখিল মাদরাসার মোট শিক্ষার্থী সংখ্যা ১৫৭ জন। এর মধ্যে ৫ ছাত্রী বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে। কোনাবাড়ী দাখিল মাদরাসার মোট শিক্ষার্থী ২০৬ জন। এর মধ্যে ছাত্র ১০০ আর ছাত্রী ১০৬ জন। এ মাদরাসার ৬ ছাত্রী বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে।

রুহুলী দাখিল মাদরাসার মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৬২ জন। এর মধ্যে ৮ ছাত্রী বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে। রাউৎবাড়ী দাখিল মাদরাসার মোট শিক্ষার্থী ২০৪ জন। এর মধ্যে ৯ ছাত্রী বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে। নিকলা দাখিল মাদরাসায় মোট শিক্ষার্থী ৯৮ জন। এর মধ্যে ৪ ছাত্রী বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে। আমুলা দাখিল মাদরাসার মোট শিক্ষার্থী ১৫৫ জন। এর মধ্যে ৯ ছাত্রী বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে।

এছাড়া, আগতেরিল্যা দাখিল মাদরাসায় মোট শিক্ষার্থীর ২২৬ জন। এর মধ্যে ১২ ছাত্রী বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে। চর চন্দনী দাখিল মাদরাসার মোট শিক্ষার্থী সংখ্যা ২২৭ জন। এর মধ্যে ছাত্র ৮১ আর ছাত্রী ১৪৬ জন। এ মাদরাসার ১৮ ছাত্রী বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে। খাশবিয়ারা দাখিল মাদরাসার মোট শিক্ষার্থী সংখ্যা ৩৮১ জন। এর মধ্যে ২১ ছাত্রী বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে।

বিলচাপড়া সবুজ সংঘ দাখিল মাদরাসার মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২০২ জন। এর মধ্যে ৯ ছাত্রী বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে। চর অলোয়া দাখিল মাদরাসার মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৩৭ জন। এর মধ্যে ৬ ছাত্রী বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে। অর্জুনা দাখিল মাদরাসার মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৮০ জন। এর মধ্যে ১২ ছাত্রী বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে। পলশিয়া দাখিল মাদরাসার মোট শিক্ষার্থী ২০৮ জন। এর মধ্যে ৯ ছাত্রী বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে।

আকালু চর কয়েড়া দাখিল মাদরাসার মোট শিক্ষার্থী ১৫৪ জন। এর মধ্যে ৭ ছাত্রী বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে। বি এম দাখিল মাদরাসার মোট শিক্ষার্থী সংখ্যা ১৮০ জন। এর মধ্যে ৬ ছাত্রী বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে। আছাতুন্নেছা দাখিল মাদরাসার মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৫০ জন। এর মধ্যে ৫ ছাত্রী বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে। বেতুয়া পলিশা দাখিল মাদরাসার মোট শিক্ষার্থী ৮৫ জন। এর মধ্যে ৪ ছাত্রী বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে।

বিয়ে হয়ে যাওয়া গোবিন্দাসী উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী ছাত্রী মিতা নূরের বাবা আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমরা গ্রামের মানুষ, অল্প বয়সেই আমাগো মাইয়া আর পুলাগো বিয়া দিতে হয়। এরপরও মাইয়ারে গোবিন্দাসী স্কুলে পড়াইতে ছিলাম। করোনায় ভরাদিন স্কুল বন্ধ থাকায় আর ভালো ছেলে পাইয়া মাইয়াডার বিয়া দিছি। বিয়া হইলেও জামাই মাইয়ারে পড়াইবো বৈলা কথা দিছে। বাকিটা মাইয়ার কপাল।’

গোবিন্দাসী স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র মেহেদীর বাবা আব্দুল লতিফ বলেন, ‘করোনার কারণে স্কুল বন্ধ থাকায় ছেলে লেখাপড়া ছেড়ে দেয়। এ কারণে বাধ্য হয়ে তাকে ব্যবসায় বসিয়ে দিই। পরবর্তীতে ছেলেকে বিয়ে করাই।’

গোবিন্দাসী ইউনিয়ন নিকাহ রেজিস্টার কাজী বদিউজ্জামান জানান, করোনার বন্ধে বেশ কয়েকটি স্কুলের ছাত্রী বিয়ে দেওয়ার সংবাদ তিনি পেয়েছেন। ওই বিয়ে গুলোর রেজিস্ট্রি তিনি করেননি। বিয়ে স্থানীয় মুন্সীরা পড়িয়েছেন বলে জানতে পেরেছেন তিনি। তবে বাল্যবিয়ে আইন সম্মত নয় বলেও জানান।

সিরাজকান্দি দাখিল মাদরাসা সুপার মো. আব্দুল কুদ্দুস জানান, করোনার বন্ধে অনেক ছাত্রীর বিয়ে হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। তবে সর্বমোট কতজনের বিয়ে হয়েছে সেই তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।

রুহুলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনোয়ারা খাতুন জানান, আমার স্কুলের ছাত্রীর সংখ্যা ১৫৪ জন। যতটুকু জেনেছি এর মধ্যে ৩৫ জন ছাত্রীর বিয়ে হয়েছে।

গোবিন্দাসী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খন্দকার মোহাম্মদ আলী জানান, আমার স্কুলের বাল্য বিয়ের তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে। এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্যে এ স্কুলের ২৬ জন ছাত্র আর ছাত্রী বিয়ের হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। তবে এ সংখ্যা আরও বাড়বে বলেও জানান তিনি।

এ বিষয়ে ভূঞাপুর উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার তাহমিনা আক্তার জানান, এ উপজেলায় মাত্র দুটি বিদ্যালয়ে ১৪ জন ছাত্রীর বিয়ে হয়েছে বলে তথ্য পেয়েছি। এর মধ্যে ফলদা শরীফুন্নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ জন ছাত্রী আর গোবিন্দাসী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ জন ছাত্রীর বিয়ে হয়েছে। এছাড়া বাকি বিদ্যালয় ও মাদরাসা কর্তৃপক্ষ তাদের ছাত্রী বিয়ের বিষয়টি অস্বীকার করেছে। এরপরও তাদের তথ্য সংগ্রহ করতে বলা হয়েছে। সূত্র: জাগো নিউজ