শিরোনাম
সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। বাড়িঘর ও রাস্তাঘাট থেকে পানি সরে যাওয়ায় দৃশ্যমান হচ্ছে ক্ষয়ক্ষতির চিত্র। তবে ধীরগতিতে পানি কমায় বাড়ছে দুর্ভোগ।
৩ জুলাই সরেজমিনে এ দৃশ্য দেখা যায়। তবে আশ্রয়কেন্দ্র থেকে প্রায় পরিবারই বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন।
জেলা ত্রাণ ও দুর্যোগ অফিস সূত্রে জানা যায়, চলমান বন্যায় জেলার ঘরবাড়ি, মসজিদ, মন্দির, স্কুলসহ সরকারি-বেসরকারি ও ব্যক্তিগত স্থাপনার ক্ষতি হয়েছে।বন্যার পানিতে জেলার ৪০ হাজার ৫৪১টি বসতঘর আংশিক এবং ৪ হাজার ৭৪৭ ঘরের পুরোপুরি বিধ্বস্তসহ সর্বমোট ৪৫ হাজার ২৮৭ ঘরের ক্ষতি হয়েছে।
এদিকে বন্যায় বসতঘর পুরোপুরি বিধ্বস্ত হওয়ায় অনেক পরিবার বাড়ি ফিরতে পারছেন না। সড়ক, সেতু, বাঁধের ওপরে মাচা তৈরি করে বা আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করে অনিশ্চিত দিন কাটছে হাজারও পরিবারের। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এসব পরিবার জীবিকার পাশাপাশি পুনর্বাসন নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। তবে ঘুরে দাঁড়াতে সরকারের পাশাপাশি ব্যক্তি ও বেসরকারি সহযোগিতা কামনা করছেন বন্যার্তরা।
ত্রাণ ও দুর্যোগ বিষয়ক কর্মকর্তা মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম জানান, এবারের বন্যায় প্রায় আড়াই লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
পুনর্বাসনের ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ঘরের তালিকা করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন করতে সরকার উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী ৫ হাজার ঘরের জন্য ৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন।
সূত্র: আরটিভি