শিরোনাম
রাজধানীর গুলশানে ড্রোন উড়িয়ে মশা খুঁজছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জোবায়দুর রহমানের নেতৃত্বে ৬-৭ জনের একটি দল এতে অংশ নেন। সঙ্গে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও মশক নিধন কর্মীরাও আছেন। শনিবার (২ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে হোটেল প্যারাডাইজে অভিযান চালায় সিটি করপোরেশন।
ঐ সময়ে ওই ছাদ থেকে ড্রোন উড়িয়ে আশপাশের ছাদগুলোতে খোঁজা নেওয়া হয় মশার। এতে মশার অস্তিত্ব আছে- এমন ভবনের তালিকাও করা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার উত্তরা এলাকায় ড্রোনের মাধ্যমে মশার উৎস শনাক্তকরণ কার্যক্রমের ঘোষণা দিয়ে ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছিলেন, ২ থেকে ১১ জুলাই ঢাকা উত্তরের আওতাধীন প্রতিটি বাসা-বাড়িতে অত্যাধুনিক ড্রোনের মাধ্যমে মশার উৎস খুঁজতে অভিযান পরিচালনা করা হবে। ড্রোন থেকে ছবি নিয়ে এবং তথ্য-উপাত্ত নিয়ে যেসব বাড়িতে মশার লার্ভা পাওয়া যায় তার একটি তথ্যভাণ্ডার তৈরি করবে, যা আগামী বছরও মশক নিধন কার্যক্রমে কাজে লাগবে।
এ অভিযানের বিষয়ে ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জোবায়দুর রহমান বলেন, মশক নিধন কর্মীদের ছাদে উঠে মশার উৎপত্তিস্থল চিহ্নিত করতে বললে, তারা দুই, চার বা সর্বোচ্চ ১০টি বাড়ি দেখে। আবার অনেক বাড়িতে ঢুকতে পারে না।
কিন্তু আমরা যখন ড্রোন দিয়ে দেখছি, তখন আশপাশের শত শত বাড়ি একঘণ্টার মধ্যে দেখে ফেলতে পারছি। এতে কাজ সহজ ও দ্রুততার সঙ্গে মশার উৎপত্তিস্থল চিহ্নিত করে তাৎক্ষণিক সেই ভবনে মশক নিধন কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছি। এতে মশক নিধন কর্যক্রম বেগবান হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা যখন ড্রোন নিয়ে একেকটি ভবনে যাচ্ছি, আশপাশের শত শত ভবনের ছাদ দেখছি, তখন অন্য ভবন মালিকরাও কিন্তু সচেতন হয়ে যাচ্ছে। অভিযানে দণ্ডিত না হতে, তারা নিজেরাই ভবনের ছাদ পরিষ্কার রাখছে। মূলত এটাই আমাদের দরকার, সবাই সচেতন হলে মশক নিধন, ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া থেকে মানুষ রক্ষা পাবে।
সূত্র: আরটিভি