শিরোনাম
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে সেই তিন নবজাতকদের বাড়িতে উপহার পাঠিয়েছেন গাইবান্ধার পুলিশ সুপার মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম। একইসঙ্গে দরিদ্র পরিবারটিকে আর্থিক সহযোগিতাও করেছেন তিনি।
সম্প্রতি জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ওই নবজাকতদের বাড়িতে যান পুলিশ সুপারের প্রতিনিধি ট্রাফিক ইন্সেপেক্টর (টিআই) নুর আলম সিদ্দিক। এ সময় ফুল, ফল, শিশুদের খাদ্য ও নগদ অর্থ রুমা-আশাদুল দম্পতির হাতে তুলে দেয় পুলিশের টিম।
এ সময় সাদুল্লাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) মশিউর রহমান, ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, পুলিশ সদস্যসহ স্থানীয়রা উপস্থিত ছিলেন।
নবজাতকদের বাবা আশাদুল ইসলাম বলেন, বাড়িতে কাজ করছিলাম। হঠাৎ পুলিশ হাজির। প্রথমে চমকে গিয়েছিলাম। পরে জানতে পারলাম পুলিশ সুপার স্যার বাচ্চাদের জন্য ফুল, ফল ও টাকা পাঠিয়েছেন।
তিনি বলেন, টাকার অভাবে স্ত্রীকে হাসপাতালে নিয়ে সুচিকিৎসা করাতে পারিনি। এখন পুলিশ সুপার স্যার টাকা দিয়েছেন। এটি দিয়ে প্রসূতি ও সন্তানদের চিকিৎসা করাতে পারবো।
এই তিন সন্তানের জন্মের আগেও এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে ওই দম্পতির। সকালে স্ত্রীর প্রসব বেদনা উঠলে হাসপাতালে নেওয়ার জন্য টাকা সংগ্রহ করতে ব্যস্ত ছিলেন আশাদুল ইসলাম। পরে জানতে পারেন তিনটি কন্যা সন্তান হয়েছে তাদের। প্রসূতি ও নবজাতকরা সুস্থ আছেন বলে জানিয়েছেন আশাদুল ইসলাম।
গাইবান্ধার পুলিশ সুপার মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, সাদুল্লাপুর উপজেলার দামোদরপুর ইউনিয়নের মধ্য ভাঙ্গা মোড়ের টুবরিপাড়া গ্রামের দারিদ্র কৃষকের ঘরে একসঙ্গে তিন নবজাতকের জন্মের খবর বিভিন্ন অনলাইন মিডিয়া ও ফেসবুকের মাধ্যমে জানতে পারি। জানার পরপরই জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করেছি। মানবিক আর আন্তরিকতাই বড় বিষয়। ওই নবজাতকদের পরবর্তীতে সুচিকিৎসার জন্য বিভিন্ন সহযোগিতা করা হবে।
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার দামোদরপুর ইউনিয়নের মধ্য ভাঙ্গা মোড়ের টুবরিপাড়া গ্রামে সোমবার (২৭ জুন) একসঙ্গে তিন সন্তানের জন্ম দেন রুমা বেগম নামে এক নারী।
সূত্র: জাগো নিউজ