শিরোনাম
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী মো. মনিরুল হক (সাক্কু) অবশেষে নির্বাচনি ইশতেহার ঘোষণা করেছেন।
রোববার (১২ জুন) বেলা ২টায় কুমিল্লা নগরের নানুয়ারদীঘির পাড়ের নিজ বাসভবনে তিনি ১৮ দফার ওই ইশতেহার ঘোষণা করেন।
নির্বাচনি ইশতেহারে আবারও তিনি কুমিল্লাকে বিশ্বমানের শহরে পরিণত করার ঘোষণা দেন। তিনি নান্দনিক কুমিল্লা সিটি করপোরেশন গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। এ ছাড়া এতে তিনি তার ১০ বছর মেয়াদের উন্নয়নের ফিরিস্তি তুলে ধরেন। এর আগে ২০১৭ সালের ২৪ মার্চ বিগত সিটি নির্বাচনে তিনি ২৭ দফা নির্বাচনি ইশতেহার দেন। এর ৭০ শতাংশ পূরণ করেছেন বলে মনিরুল হক দাবি করেন।
মনিরুলের ১৮ দফা ইশতেহার হলো—কুমিল্লা নগরের অবকাঠামো (সড়ক, জলাবদ্ধতা, যানজট নিরসন) উন্নয়ন, সড়কবাতি লাগানো, শিক্ষা ও সংস্কৃতির উন্নয়ন, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন, বিনোদন, স্বাস্থ্যসেবা, তথ্যপ্রযুক্তি, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, বাজার, শপিং মল, ক্রীড়া ও খেলার মাঠ, বস্তিবাসী ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন, করোনার সময়ে ত্রাণ কার্যক্রম, নিরাপত্তা বিধান, মাদক, সন্ত্রাস ও ইভটিজিংমুক্ত সমাজ, জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের সম্মাননা প্রদান, পাঠাগার স্থাপন ও গৃহকর গণশুনানির মাধ্যমে নির্ধারণ।
তবে স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলেছেন, মনিরুল হক ইশতেহারের নামে তার গত ১০ বছরের উন্নয়নকাজের ফিরিস্তি তুলে ধরেছেন। একই সঙ্গে আগামী পাঁচ বছর কি কাজ করবেন, তার রূপরেখা তুলে ধরা হয়।
মনিরুল হক বলেন, গতবারে ৭০ শতাংশ কাজ করেছি। বাকি ৩০ শতাংশ ও এবারের ১৮ দফা এবার যুক্ত হলো। জনগণ টেবিল ঘড়ি প্রতীকের পক্ষে আছেন। এবারও জয়ী হব।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম কুমিল্লা জেলা শাখার সভাপতি মো. কাইমুল হক, শহর বিএনপির সাবেক সভাপতি আতিকুল ইসলাম, তারেক আবদুল্লাহ ও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য নজরুল হক ভূঁইয়া প্রমুখ।
আগামী ১৫ জুন কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট গ্রহণ করা হবে। নির্বাচনি প্রচারণা শেষ হওয়ার এক দিন আগে এই ইশতেহার ঘোষণা করা হলো।
সূত্র: আরটিভি