স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উপস্থিতিতে ৯১ লাখ ইয়াবা ধ্বংস

ফানাম নিউজ
  ২৭ মে ২০২২, ১৭:২৮

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, মাদকরোধে কঠোর হতে কঠোরতর হতে হবে, অপরাধীদের কোন দলীয় পরিচয় নেই।

আরও বলেন, সীমান্ত হচ্ছে চ্যালেঞ্জিং। মিয়ানমার সীমান্ত রয়েছে ২৭৪ কিলোমিটার। তাই, সীমান্তে কাজ করা অনেক দুরূহ ব্যাপার। তাই, বিজিবিকে হেলিকপ্টার থেকে শুরু অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার হচ্ছে।

শুক্রবার (২৭ মে) বেলা ১১টার দিকে কক্সবাজারের রামু বিজিবি রিজিয়ন মাঠে আয়োজিত মাদকদ্রব্য ধ্বংসকরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী একথা বলেন। এ সময় ৯১ লাখ পিস ইয়াবা ধ্বংস করা হয়।

আসাদুজ্জামান খান বলেন, বিজিবি সীমান্তে মাদক ও মানবপাচাররোধে কাজ করছে। আমাদের দেশে মাদকসেবীর ৫০ শতাংশ হচ্ছে তরুণ। আমাদের ২৪ প্রকার মাদক আসে পার্শ্ববর্তী দেশ মিয়ানমার থেকে।
 
তিনি  বলেন, আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স বাস্তবায়ন করতে হবে।

বিজিবি সদস্যরা দেশের জন্য দুঃসাহসিক কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে মাদকের সাথে জড়িতরা যে দলের হোক, তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার আহ্বান জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

এ সময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আখতার হোসেন বলেন, দেশকে মাদকমুক্ত করতে বিজিবি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বিশেষ করে নির্বাচন থেকে শুরু করে দেশের দুর্যোগকালীন সময়ে বিজিবি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বিজিবি হচ্ছে সীমান্ত প্রহরী। তাই বিজিবিকে আরও আধুনিকায়ন করতে প্রধানমন্ত্রী কাজ করছেন।

বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন ও সার্বজনীন প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। সীমান্তে মাদক পাচার রোধে বিজিবি সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত বলে তিনি সকলকে আশ্বস্ত করেন।

অনুষ্ঠানে কক্সবাজার সদর-রামু আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, মহেশখালী-কুতুবদিয়া আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য কানিজ ফাতেমা মোস্তাক, বিজিবির কক্সবাজার রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজম-উস-সাকিব, রামু ১০ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মো. ফখরুল আহসান, কক্সবাজার ত্রাণ ও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন কমিশনার রেজোয়ান হায়াত, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদসহ উচ্চপদস্থ সরকারি ও বেসরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বিজিবি কক্সবাজার রিজিয়ন সূত্র জানায়, এ অনুষ্ঠানে গত ১ বছরের মালিকবিহীন উদ্ধারকৃত  ৯০ লাখ ৮০ হাজার ৪৭৭ পিস ইয়াবা, ২৩ হাজার ৭৫২ কেজি ক্রিস্টাল মেথ আইস, ৬ হাজার ৭৬৭ ক্যান বিয়ার, ১ হাজার ৩৩৯ বোতল মদ, ১৫৪ বোতল ফেন্সিডিল, ২০৬ লিটার বাংলা মদ, ১৭ কেজি গাঁজা,  ৪৮,০১৯ পিস বিভিন্ন প্রকার ট্যাবলেট, ১০ হাজার ৯৮৪ প্যাকেট সিগারেট এবং ৭ বোতল অ্যামোনিয়া সালফার ধ্বংস করা হয়েছে।

এ ছাড়া বিভিন্ন সময়ে আটককৃত ১ হাজার ৯৭৯ জন আসামিসহ ১ কোটি ২৪ লাখ ৪৩০ পিস ইয়াবা, ২৭ হাজার ৪৪৮ কেজি ক্রিস্টাল মেথ আইস, ১ হাজার ৩০৫ ক্যান বিভিন্ন প্রকার বিয়ার,  ৯৮ বোতল বিভিন্ন প্রকার মদ, ১৩৭ বোতল ফেন্সিডিল, ৫৮ লাখ ৬ হাজার ৮০০ লিটার বাংলা মদ, ২২ হাজার ৯৯৫ কেজি গাঁজ, ৩ হাজার ১৫০ কেজি আফিম মামলার মাধ্যমে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

সূত্র: দেশ রূপান্তর