শিরোনাম
প্রতি বর্ষা মৌসুমেই জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তির স্বপ্ন দেখানো হয়। তবে চট্টগ্রামবাসীর এই স্বপ্ন যেন বাস্তবায়ন হওয়ার কোনো নাম নেই। আর এই জলাবদ্ধতা থেকে তাদের মুক্তি মিলছে না।
শনিবার (২১ মে) ভোর থেকে ৯টা পর্যন্ত হওয়া ৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতেই চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন স্থানে হাঁটুসমান পানি জমে গেছে। কোথাও কোথাও জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে চলাচলের ক্ষেত্রে ভোগান্তিতে পড়েছেন স্কুল-কলেজ ও অফিসগামী মানুষ। পানিতে ডুবে থাকা সড়কের গর্তে পড়ে ঘটছে বড়-ছোট দুর্ঘটনা। পানি চলাচলের ড্রেনে প্রতিবন্ধকতার কারণে এই দুর্ভোগের সৃষ্টি হচ্ছে বলে জানান স্থানীয়রা।
অন্যদিকে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের চিত্র প্রকট আকার ধারণ করলেও ড্রেন ব্যবস্থার উন্নয়নের বদলে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কেবল নির্মাণ ও ব্যয়মূলক প্রকল্পের দিকে।
অফিসগামী সোহাগ মিয়া বলেন, রাস্তায় পানি থাকায় অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে রিকশায় অফিসে যাচ্ছি। সামান্য বৃষ্টি হলেই নগরের বেশির ভাগ এলাকা পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। বর্ষা এলেই আগামী বছর জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তির আশ্বাস দেখায় দায়িত্বশীলরা। কিন্তু তা আর হয় না, বছরের পর বছর লেগে আছে এই জলাবদ্ধতা। প্রতিবছর জলাবদ্ধতার কারণে চরম বিপাকে পড়তে হয়। এ সমস্যার সমাধান কবে হবে তা আমাদের কারো জানা নেই।
নগরের চকবাজার, প্রবর্তক, দুই নম্বর গেট, মুরাদপুর, বহদ্দারহাট, আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক, গোসাইলডাঙ্গা, শান্তিবাগ, হালিশহর, চান্দগাঁও, বাকলিয়াসহ নগরের নিচু এলাকায় কোথাও কোমর পানি আবার কোথাও হাঁটু পানি জমে গেছে। জলাবদ্ধতার কারণে অফিসগামী এবং বিভিন্ন কাজে বের হওয়া মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছেন।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ চৌধুরী জানিয়েছেন, শনিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। ৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতই নগরের নিম্নাঞ্চলে হাঁটু পানি জমে গেছে। পানি ঢুকে সিএনজি অটোরিকশা নষ্ট হয়ে যেতে দেখা গেছে বিভিন্ন জায়গায়। অফিসমুখী কেউ কেউ হাঁটু পর্যন্ত পানি দিয়ে গন্তব্যের দিকে যেতে হচ্ছে। জলাবদ্ধতার কারণে দুই নম্বর গেইট এলাকায় যানজট সৃষ্টি হয়েছে।
সূত্র: আরটিভি