শিরোনাম
যশোরে অনলাইনভিত্তিক এমএলএম প্রতিষ্ঠান রিং আইডির সাত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের মামলা হয়েছে। শনিবার যশোর কোতোয়ালি মডেল থানায় এই মামলা করা হয়েছে। সূত্র: প্রথম আলো
মামলা বাদী হলেন যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার দিকদানা গ্রামের শিমুল কুমার বিশ্বাস। আসামিরা হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার কালাই নগর গ্রামের সিরাজুল ইসলামের দুই ছেলে শরিফুল ইসলাম ও সাইফুল ইসলাম, একই এলাকার আমিনুল ইসলামের মেয়ে আইরিন ইসলাম, সিলেট সদর উপজেলার ওয়াপদা গ্রামের ইউসুফ আলীর ছেলে সালাহ উদ্দিন, চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার ডুমুরিয়া গ্রামের আবুল বাসারের ছেলে আহসান হাবিব, পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার কাশিনাথপুর গ্রামের মনির উদ্দিন শেখের ছেলে রফিকুল ইসলাম এবং হবিগঞ্জ জেলা শহরের ৪ নম্বর পৌর ওয়ার্ডের সাজিদ মিয়ার ছেলে নাজমুল হোসেন। সব আসামিই রাজধানীর ধানমন্ডির রিং আইডির কার্যালয়ে চাকরি করেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ৫ মার্চ বিকেলে যশোর শহরের আরবপুর বাজারে বন্ধুদের সঙ্গে শিমুল কুমার আড্ডা দিচ্ছিলেন। এ সময় মোবাইলের স্ক্রিনে আসামি রফিকুল ইসলামের ১১৭৭৯০৪৪ নম্বর রিং আইডি থেকে পাঠানো একটি বিজ্ঞাপন দেখতে পান। ওই বিজ্ঞাপনে বলা হয়, প্রতিদিন ১০০টি বিজ্ঞাপন দেখলে ৫০০ টাকা করে দেওয়া হবে। এর জন্য ১৮ হাজার ৫০০ টাকা দিয়ে একটা অনলাইনে রিং আইডি নিতে হবে। ওই টাকা জমা দিয়ে ভার্চ্যুয়াল সদস্যপদে একটি রিং আইডি ওয়ালেট নেন তিনি। এভাবে তিনি সাড়ে ৩ লাখ টাকা দিয়ে ১৬টি আইডি নেন। কিন্তু প্রতি সপ্তাহে একবার ওই টাকা ওয়ালেট থেকে উত্তোলন করা যাবে বলে উল্লেখ করা হলেও এ পর্যন্ত তিনি কোনো টাকা তুলতে পারেননি। পরে রিং আইডি অফিসে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেছে, এখন সমস্যা আছে, পরে টাকা উত্তোলন করা যাবে। এই পর্যন্ত কোনো টাকা উত্তোলন করতে না পেরে তিনি থানায় প্রতারণার মামলা করেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম বলেন, অনলাইনে একটি কোম্পানির মাধ্যমে এক ব্যক্তির আইডি খুলিয়ে প্রতারণা করে কয়েক লাখ টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। এ ঘটনায় সাতজনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতপরিচয় আরও ১২-১৩ জনের নামে মামলা করা হয়েছে। তবে কাউকে এখনো গ্রেপ্তার করা যায়নি।